scorecardresearch
 

Udaipur Murder: উদয়পুর হত্যাকাণ্ড: পাক সংগঠন 'দাওয়াত-ই-ইসলামি' আসলে কী?

Udaipur Murder: 'দাওয়াতে ইসলামী' পাকিস্তান থেকে গঠিত এবং পরিচালিত হয় এবং এর নেটওয়ার্ক বিশ্বের ১৯৪টি দেশে বিস্তৃত। ১৯৮১ সালে পাকিস্তানের করাচিতে মৌলানা ইলিয়াস আত্তারি 'দাওয়াত-ই-ইসলামী' গঠন করে। ইলিয়াস আত্তারির কারণে দাওয়াত-ই-ইসলামীর সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা তাঁদের নামের সঙ্গে আত্তারি লাগান। উদয়পুরের ঘটনায় অভিযুক্ত মহম্মদ রিয়াজও নিজের নামের সঙ্গে আত্তারি ব্যবহার করত।

Advertisement
দুই অভিযুক্ত। দুই অভিযুক্ত।
হাইলাইটস
  • উদয়পুর হত্যাকাণ্ড
  • পাক সংগঠন 'দাওয়াত-ই-ইসলামি' আসলে কী?
  • জানুন বিস্তারিত তথ্য

Udaipur Murder: রাজস্থানের উদয়পুরে দর্জির নৃশংস হত্যাকাণ্ডের অভিযুক্ত মহম্মদ রিয়াজ আত্তারি এবং গৌস মহম্মদ সম্পর্কে বড় তথ্য সামনে এসেছে। দুই অভিযুক্তই 'দাওয়াতে ইসলামী' সংগঠনের সঙ্গে জড়িত বলে জানা গিয়েছে। দাওয়াত-ই-ইসলামি একটি ধর্মীয় সংগঠন। ধর্মীয় কথা প্রচারের জন্য এটি গঠন করা হয়েছিল। 'দাওয়াতে ইসলামী' পাকিস্তান থেকে গঠিত এবং পরিচালিত হয় এবং এর নেটওয়ার্ক বিশ্বের ১৯৪টি দেশে বিস্তৃত। ১৯৮১ সালে পাকিস্তানের করাচিতে মৌলানা ইলিয়াস আত্তারি 'দাওয়াত-ই-ইসলামী' গঠন করে। ইলিয়াস আত্তারির কারণে দাওয়াত-ই-ইসলামীর সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা তাঁদের নামের সঙ্গে আত্তারি লাগান। উদয়পুরের ঘটনায় অভিযুক্ত মহম্মদ রিয়াজও নিজের নামের সঙ্গে আত্তারি ব্যবহার করত।

১৯৮৯ সালে পাকিস্তান থেকে উলামাদের একটি প্রতিনিধি দল ভারতে আসে। এরপর ভারতে ‘দাওয়াতে ইসলামী’ সংগঠন নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। সংস্থাটির সদর দফতর রয়েছে ভারতের দিল্লি এবং মুম্বাইতে। সৈয়দ আরিফ আলী আত্তারি ভারতে 'দাওয়াতে ইসলামী' সম্প্রসারণের জন্য কাজ করছেন। দাওয়াত-ই-ইসলামি নব্বইয়ের দশকে হাফিজ আনিস আত্তারি তাঁর ১৭ জন সঙ্গীতে এই সংগঠনের ছায়ায় আনতে পেরেছিল। সেখান থেকেই এর পথ চলা শুরু। সেই সময়ে এই ১৭ জন প্রচুর মানুষকে একত্রিত করার জন্য একটি নতুন উপায় খুঁজে পেয়েছিল। সংগঠনটি তাদের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন জলসাও পরিচালনা করে, যাতে বিপুল সংখ্যক লোক যোগ দেয়।

'দাওয়াতে ইসলামী' তার মতাদর্শ প্রচারের জন্য একটি চ্যানেল খুলেছে, যার নাম মাদানী। এই চ্যানেলে উর্দুর পাশাপাশি ইংরেজি ও বাংলা ভাষায়ও অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হয়। চ্যানেলটি পাকিস্তান থেকে পরিচালিত হয়। দাওয়াত-ই-ইসলামীর নেটওয়ার্ক প্রায় ১৯৪টি দেশে ছড়িয়ে আছে। তাবলিগী জামাতের মতো, দাওয়াত-ই-ইসলামীর লোকেরা ধর্মীয় কথা প্রচারের জন্য নির্দিষ্ট দিনে ভ্রমণ করে। এই সংগঠনের লোকেরাও মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় মিছিল বের করে।

Advertisement

বেরেলির উলামারাও বহুবার প্রকাশ্যে দাওয়াতে ইসলামীর বিরোধিতা করেছেন। এর বিরুদ্ধে লিফলেটও প্রচার চালানো হয়েছে। বেরেলির উলামারাও দাওয়াত-ই-ইসলামীর কর্মসূচিতে অংশ নেন না। দাওয়াত-ই-ইসলামী ১৯৯১ সালের ডিসেম্বরে মুম্বাইয়ে একটি ইজতেমা আয়োজনের পরিকল্পনা করেছিল, কিন্তু পারস্পরিক বিরোধের কারণে অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হতে পারেনি। এই সংগঠনটি তিন দশক ধরে ভারতে সক্রিয় রয়েছে, এর গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য হল শরিয়া আইনের প্রচার এবং এর শিক্ষা বাস্তবায়ন করা। দাওয়াতে ইসলামি কতগুলি ওয়েবসাইট রয়েছে। দাওয়াতে ইসলামী ৩২ টিরও বেশি ইসলামিক কোর্স পরিচালনা করে যা অনলাইনে হয়। দাওয়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধেও বহুবার ধর্মান্তরের অভিযোগ উঠেছে। সূত্রের মতে, উদয়পুর মামলার তদন্তে সামনে এসেছে যে অভিযুক্ত মহাম্মদ রিয়াজ এবং গাউস মোহাম্মদ অনলাইন কোর্স করছিল ওই ওয়েবসাইটগুলিতে। এসআইটি ও এনআইএ-র দল এই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছে।

Advertisement