উত্তরপ্রদেশে ফের প্রশ্নের মুখে আইন-শৃ্ঙ্খলা ব্যবস্থা। হাথরসকাণ্ডের দগদগে স্মৃতি এখনও রয়েছে মানুষের মনে। তারমধ্যেই যোগীরাজ্যে ফের ঘটল ভয়ঙ্কর ধর্ষণের ঘটনা। এবার চলন্ত গাড়িতে গণধর্ষণের শিকার হলেন মধ্যবয়সি এক মহিলা। এখানেই থেমে থাকেনি নির্যাতণ। নির্ভয়াকাণ্ডের মতই মধ্যবয়সি ওই মহিলার যৌনাঙ্গে রড ঢুকিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। ভেঙে দেওয়া হয় নির্যাতিরার পাঁজর ও পায়ের হাড়। আর এতেই মৃত্যু হয় নির্যাতিতার।
নির্যাতিতার রক্তপাতের পরিমাণ এতটাই ছিল যে তাঁর সারা শরীর সাদা হয়ে যায়। গণধর্ষণের পর তাঁকে গাড়ি থেকে ফেলে দেওয়া হয়। এমন নৃশংস ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বদায়ুঁ জেলায়। রবিবার সন্ধ্যায় ঘটা এই ভয়ঙ্কর ঘটনা নিয়ে এখন উত্তাল যোগীরাজ্য। জানা যাচ্ছে দীর্ঘ টালবাহানার পর পুলিশ মহিলার দেহ ময়নাতদন্তে পাঠায় এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও খুনের মামলা দায়ের করে।
নির্যাতিতা প্রৌঢ়া অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ছিলেন, তিনি স্থানীয় মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন বলে খবর। তারপর বাড়ি না ফেরায়, থানায় অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। ঘটনাস্থল থেকে প্রৌঢ়াকেযখন উদ্ধার করা হয় তখন তাঁর শরীরে প্রাণ ছিল। তবে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকার মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় বুধবার দু'জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গোটা ঘটনায় পুলিশি নিস্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছে নির্যাতিতার পরিবার। তাদের দাবি, অভিযোগ দায়ের করা সত্ত্বেও থানার স্টেশন অফিসার (এসএইচও) রবেন্দ্রপ্রতাপ সিংহ ঘটনাস্থলে যাওয়ার তাগিদ পর্যন্ত দেখাননি। বরং যেখান থেকে ওই মহিলাকে উদ্ধার করা হয়, সোমবার দুপুরে কেবলমাত্র একবার সেখানে ঢুঁ মেরে আসে পুলিশ। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে স্টেশন অফিসারকে সাসপেন্ড করেছে যোগী প্রশাসন।
মৃতার দেহের ময়নাতদন্ত নিয়েও গড়িমসির অভিযোগ উঠেছে। রবিবার গভীর রাতে মৃত্যু হলেও, সোমবার বিকেলে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় বলে দাবি করেছেন নির্যাতিতার পরিবার। একজন মহিলা-সহ ৩ চিকিৎসকের দল ময়নাতদন্তের দায়িত্বে ছিলেন। মঙ্গলবার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসায় স্তম্ভিত হয়ে যান সকলে। জানা যায়, ধর্ষণের পর ওই মহিলার যৌনাঙ্গে রড ঢুকিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। সেই রক্তক্ষরণ আর বন্ধ করা যায়নি। তার জেরেই ওই মহিলার মৃত্যু হয়। ভারী কোনো বস্তু দিয়ে মহিলার বুকে আঘাত করে পাঁজরের হাড় ভেঙে দেওয়াও হয়েছে। সেই সঙ্গে ভেঙে দেওয়া হয় তাঁর একটি পাও। এই ঘটনায় মন্দিররে পুরোহিত ও তার দুই সহযোগীর দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলছে নির্যাতিরার ছেলে।