আষাঢ় শুক্ল পূর্ণিমা গুরু পূর্ণিমা নামেও পরিচিত। জ্যোতিষীরা বলেন, গুরু পূর্ণিমার দিনে গুরুর আশীর্বাদে ধন, সুখ ও শান্তির আশীর্বাদ পেতে পারেন। এ বছর গুরু পূর্ণিমা পালিত হবে ১৩ জুলাই। রুচক, ভাদ্র, হংস ও শশ নামের চারটি বিশেষ যোগ এবার গুরু পূর্ণিমায় বিশেষ হয়ে ওঠে।
গুরু পূর্ণিমার তাৎপর্য
হিন্দু ধর্মের বিশ্বাস অনুসারে, মহর্ষি বেদ ব্যাস আষাঢ় মাসের পূর্ণিমায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাই একে ব্যাস পূর্ণিমাও বলা হয়। এই দিনে শিষ্যরা তাঁদের গুরুকে বিশেষ পুজে দেয়। লোকেরা যথাসম্ভব তাঁদের গুরুকে দক্ষিণা, ফুল, বস্ত্র ইত্যাদি নিবেদন করে। এই দিনে শিষ্যরাও তাদের সমস্ত দোষ ত্যাগ করেন।
আপনার গুরু কে হতে পারেন?
সাধারণত, যিনি শিক্ষা দেন তাঁকে আমরা গুরু বলে মনে করি। কিন্তু বাস্তবে যে শিক্ষক জ্ঞান দান করেন তিনিই আংশিক অর্থে গুরু। গুরু হওয়ার সকল শর্তই বলা হয়েছে, যার মধ্যে ১৩টি শর্ত প্রধান।
সেগুলো হল- শান্ত, দন্তপ্রাণ, মহৎ, নম্র, শুদ্ধ-আত্মাসম্পন্ন, শুদ্ধ আচার-আচরণ, সু-সম্মানিত, গুণী, উপ-বুদ্ধিসম্পন্ন, আশ্রমী, ধ্যানশীল, ঋষি-মন্ত্র-মন্ত্র এবং নিগ্রহ-করুণাময়। গুরু লাভের পর তাঁর নির্দেশনা মেনে চলার চেষ্টা করতে হবে।
আরও পড়ুন: গাছের 'রক্ত' দেখতে সেগুলোকে খুঁচিয়ে মেরেই ফেলছেন পর্যটকরা
আরও পড়ুন: আদানি উইলমার আইপিও করতে পারে মালামাল! অ্যালটমেন্ট চেক করুন এভাবে
আরও পড়ুন: পুরুষ-শরীরে এই ১০ লক্ষণ চিন্তার, ক্যান্সার নয় তো?
কীভাবে গুরু পুজো করতে হয়?
গুরু পূর্ণিমার দিনে গুরুকে উচু আসনে বসান। জল দিয়ে তাঁদের পা ধুয়ে ফেলুন। তারপর তার পায়ে হলুদ বা সাদা ফুল অর্পণ করুন। এর পরে তাঁদের সাদা বা হলুদ কাপড় দিন। তাদের ফল, মিষ্টি দক্ষিণা নিবেদন করুন। এবার গুরুর কাছে তাঁর দায়িত্ব গ্রহণের জন্য প্রার্থনা করুন।
আরও পড়ুন: খুলে গেল সুন্দরবন, অনলাইন বুকিংও শুরু, মানতেই হবে কোভিড বিধি
আরও পড়ুন: সোনাঝুরি হাট আপাতত সপ্তাহে দু'দিন, সাজিয়ে তুলবে পুরসভা