ধন-সম্পদের অধিষ্ঠাত্রী দেবী হচ্ছেন মা লক্ষ্মী। মা লক্ষ্মী পুজো করলে ধন প্রাপ্তি হয়। সঙ্গে বৈভবও পাওয়া যায়। যদি লক্ষ্মী রুষ্ট হয়ে যান তাহলে দারিদ্র্যের মুখে পড়তে হয়। যদি লক্ষ্মী কোনওভাবে প্রসন্ন হন, তাহলে ধন-দৌলত, সুখ-স্বাচ্ছন্দ নিয়ে আর ভাবতে হয় না। আমরা বৃহস্পতিবার সাধারণত লক্ষ্মীপুজো করি। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না শুক্রবার দিন মা লক্ষ্মীকে সমর্পিত করা রয়েছে। আপনি যদি মা লক্ষ্মীর কৃপা সর্বদা নিজের পরিবারের উপর বজায় থাকুক,তাই চান, তাহলে শুক্রবার দিন আপনাকে কোন কোন কাজ করতে হবে না, সেটা জানতে হবে।
এই চারটি কাজ একেবারেই করবেন না
১. ঋণ নেওয়া বা দেওয়া যাবে না
শুক্রবার ধার নেওয়া বা দেওয়া শুক্রবার দিন কখনওই করবেন না। এদিন ধার লেনদেন করা একেবারেই বন্ধ করে দিতে হবে। কারও কাছ থেকে এই দিন কোনও টাকা-পয়সা নেবেন না এবং কাউকে ধারও দেবেন না। এদিন ঋণ নিলে বা দিলে মা লক্ষ্মীও রুষ্ট হন।
২. চিনি দেবেন না
অনেক সময়ই প্রতিবেশী কেউ ঘরের ভান্ডারে ফুরিয়ে গেলে নানা জিনিস চেয়ে নিয়ে যান। পরে দিয়েও দেন। কিন্তু আর যাই দিন না কেন, শুক্রবার কাউকে চিনি দেবেন না। শুক্রবার দিন কোনও প্রতিবেশী চিনি চাইতে এলে তাঁকে মানা করে দিন। এদিন চিনি দিলে শুক্র গ্রহ কমজোর হয়ে যায়। আমাদের জীবনের সুখ এবং সমৃদ্ধি গ্রহের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত শুক্রগ্রহ।
৩.এদের অসম্মান করবেন না
এমনিতে সবাইকেই সম্মান করা উচিত। কিন্তু অনেক সময় আমাদের অজ্ঞাতে আমরা কাউকে অনিচ্ছাসত্ত্বেও অসম্মান করে ফেলি। শুক্রবার কোনও মহিলা, কন্যা বা কোনও নপুংসককে অপমান করা উচিত নয়। তাকে কোনও খারাপ কথা বলা উচিত নয়। মনে করা হচ্ছে এতে মা লক্ষ্মী সন্তুষ্ট হন এবং ধন-সম্পত্তি হানি হয়।
৪. এদিন ঘর পরিষ্কার রাখবেন
বলা হয় মা লক্ষ্মী সেখানেই বাস করেন, যেখানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় থাকে। এই কারণে দিওয়ালির সময়ে মা লক্ষ্মীর পুজোর আগে ঘর পরিষ্কার রাখা হয়। যাতে মা লক্ষ্মী প্রসন্ন হয়ে ঘরে বাস করেন এবং তার কৃপা সর্বদা বজায় থাকে।