সূর্যগ্রহণ এবং চন্দ্রগ্রহণের মতো বিষয়গুলি জ্যোতির্বিদ্যায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই বছর হতে চলেছে ২টি সূর্যগ্রহণ ও ২টি চন্দ্রগ্রহণ। এই গ্রহণের ধর্মীয় ও জ্যোতিষশাস্ত্রীয় গুরুত্বও রয়েছে। এর পাশাপাশি এটি দেশ তথা বিশ্ব এবং বিশ্ববাসীর ওপরেও ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। তাহলে চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক এই গ্রহণগুলি কবে ও কোন সময়ে হবে? এমনকী ভারতেও বা এগুলির কেমন প্রভাব পড়বে?
২০২৩ সালের গ্রহন এবং সেগুলির প্রভাব
বছরের প্রথম গ্রহণ : প্রথমেই হবে সূর্যগ্রহণ (Surya Grahan 2023)। এই গ্রহণটি হতে চলেছে আগামী ২০ এপ্রিল। পঞ্জিকা অনুসারে, এই সূর্যগ্রহণ ভারতীয় সময় সকাল ৭টা ৪ মিনিট থেকে দুপুর ১২টা ২৯ মিনিট পর্যন্ত হবে। কিন্তু ভারতে এই সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে না। তাই এর সুতক কালও বৈধ হবে না। বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ভারত মহাসাগর এবং অ্যান্টার্কটিকার মতো জায়গা থেকে।
বছরের দ্বিতীয় গ্রহণ : এর পরেরটি হল চন্দ্রগ্রহণ (Chandra Grahan 2023)। সেটি হবে আগামী ৫ মে। এটি হবে উপছায়া চন্দ্রগ্রহণ। এটিও ভারতে দেখা যাবে না। তাই এটিরও সুতক কালও দেশে বৈধ হবে না। এই চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে ইউরোপ, এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, আফ্রিকা, অ্যান্টার্কটিকা, প্রশান্ত মহাসাগর, আটলান্টিক ও ভারত মহাসাগরের মতো অঞ্চল থেকে। ভারতীয় সময় রাত ৮টা ৪৫ মিনিট থেকে রাত ১টা পর্যন্ত চলবে এই গ্রহণ।
বছরের তৃতীয় গ্রহণ : বছরের তৃতীয় গ্রহণটি ফের হতে চলেছে সূর্যগ্রহণ (Solar Eclipse 2023)। এটি হবে আগামী ১৪ অক্টোবর ঘটবে। এটি হবে একটি বৃত্তাকার সূর্যগ্রহণ, যা ভারতে দৃশ্যমান হবে না। তাই এর সুতক কালও বৈধ হবে না। টেক্সাস, মেক্সিকো, মধ্য আমেরিকা, কলম্বিয়া, ব্রাজিলের কিছু অংশ, আলাস্কা এবং আর্জেন্টিনায় এই গ্রহণ দৃশ্যমান হবে।
বছরের চতুর্থ তথা শেষ গ্রহণ : বছরের চতুর্থ তথা শেষ গ্রহণটি ঘটবে আগামী ২৮ অক্টোবর। এটি হবে চন্দ্রগ্রহণ (Lunar Eclipse 2023)। শারদ পূর্ণিমায় হতে চলা এই গ্রহণ ভারতের কিছু অংশে দেখা যাবে। তাই এর সুতক কাল বৈধ হবে। এটি একটি আংশিক চন্দ্রগ্রহণ এবং ভারত ছাড়াও ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, উত্তর-দক্ষিণ আফ্রিকা, আর্কটিক, অ্যান্টার্কটিকা, প্রশান্ত মহাসাগর, আটলান্টিক এবং ভারত মহাসাগর সহ এশিয়ার বেশকিছু জায়গায় এটি দৃশ্যমান হবে।
২০২৩ সালের গ্রহণ প্রাকৃতিক বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে
এই বছর যে ৪টি গ্রহণ ঘটবে তা সমস্ত রাশির মানুষের উপর বড় প্রভাব ফেলবে। কারও জন্য এই সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ শুভ এবং কারও জন্য অশুভ প্রমাণিত হবে। জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে, এগুলি প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণও হয়ে উঠতে পারে। এসব গ্রহণের ফলে ভূমিকম্প, বন্যা, সুনামির আশঙ্কা রয়েছে।
আরও পড়ুন - 'ডাক্তারি নিয়ে বড় দুর্নীতি করেছেন', এবার জ্যোতি বসুকে নিশানা উদয়নের