২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর নোটবন্দি করে কেন্দ্রীয় সরকার। বাতিল করা হয় ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট। পরিবর্তে নয়া ৫০০ ও ২০০০ টাকার নোট চালু করে সরকার। (ছবি-গেট্টি)
দেশে দু হাজার টাকার নোটের প্রচলন সবচেয়ে বেশি ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে হয়। সেই বছর, ৩৩,৬৩০ লক্ষ দু হাজার টাকার নোটের প্রচলন হয়, যার মূল্য ছিল ৬.৭২ লক্ষ কোটি টাকা।
তবে বর্তমানে এর প্রচলন কমেছে। এখন এর পরিমান ৯,১২০ লক্ষ, অর্থাৎ ২৭ শতাংশ কমেছে। বাজারে বন্ধ হয়ে গিয়েছে ১.৮২ লক্ষ টাকা মূল্যের ২ হাজারের নোট।
অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur) লোকসভায় জানান যে, গতবছর একটিও দু হাজারের নোট ছাপানো হয়নি। প্রসঙ্গত আরবিআই-এর সঙ্গে আলোচনার পরেই নোট ছাপানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসের পরে দু হাজারের একটিও নোট ছাপা হয়নি। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন হল ওই নোটগুলি গেল কোথায়?
যে নোটগুলি বর্তমানে বাজারের বাইরে সেগুলি নিয়ে আরবিআই-এর (RBI) রিপোর্টে কিছু উল্লেখ করা হয়নি বলেই জানা যাচ্ছে। তবে এই নোট ছাপানো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলেই জানানো হয়েছে। ফলে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের শাখায় এই নোট পৌঁছচ্ছে না। একইসঙ্গে মিলছে না এটিএম থেকেও।
এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, হয়তো কালোটাকার আকারে জমা করা হয়েছে সেগুলি। ২০১৬ সালে নোটবন্দির সময়ে ৪-৫ লক্ষ কোটি টাকার মুদ্রা ফেরত আসবে না বলেই মনে করেছিলেন বিশষজ্ঞরা। যদিও পরে আরবিআই-বার্ষিক রিপোর্টে জানায় যে বাতিল নোটের প্রায় ৯৯ শতাংশই ফেরত এসেছে।
আরবিআই-এর রিপোর্ট জানাচ্ছে, মার্চ মাস পর্যন্ত বাজারে ২৪,৫১০ লক্ষ দু হাজারের নোট রয়েছে, যার মূল্য ৪.৯০ লক্ষ কোটি টাকা। তবে ২ হাজারের নোট কমলেও ৫০০ ও ২০০ টাকার নোটের প্রচলন বেড়েছে।
আরবিআই জানাচ্ছে, দেশে নগদের প্রচলন বেড়েছে। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ৭.২ শতাংশ মুদ্রা এবং নগদ মূল্যের পরিমান ১৬.৮ শতাংশ বেড়েছে।