মাধ্যমিকের পরে এবার উচ্চমাধ্যমিকেও প্রায় ১০০ শতাংশ পাশ পশ্চিমবঙ্গে। আজ অর্থাত্ সোমবার উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মহুয়া দাস জানালেন, প্রায় ১০০ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রীই উচ্চমাধ্যমিকে পাশ। তাঁর কথায়, 'আমাদের সরকার মানবিক। তাই কোভিড পরিস্থিতি বিবেচনা করে পড়ুয়াদের পাশ করিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।'
ফেল করা ছাত্র-ছাত্রীদের বিক্ষোভ
করোনার জেরে এ বছর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা হয়নি। মাধ্যমিকে ইতিমধ্যেই ১০০ শতাংশ পড়ুয়া পাশ করেছে। উচ্চমাধ্যমিকে পাশ করেছিল ৯৭.৬৯ শতাংশ। যে সব ছাত্র-ছাত্রীরা ফেল করে, তারা অনেকেই রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভ দেখায়। বিক্ষোভের আবহে হস্তক্ষেপ করে রাজ্য শিক্ষা দফতর। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদকে চিঠি দেয় শিক্ষা দফতর। নবান্নে মহুয়াকে তলব পর্যন্ত করেন মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী। মুখ্যসচিবের নির্দেশমতো, সমস্ত জেলাশাসকদের স্কুলে গিয়ে অভিযোগ খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন শিক্ষাসচিব। যে সমস্ত স্কুলে বিক্ষোভের ঘটনা ঘটছে, সেখানে পৌঁছে পরিস্থিতি সামলানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এসডিও, বিডিও ও ডিআই অর্থাত্, ডিস্ট্রিক্ট ইনস্পেক্টরদের।
প্রায় সবাই পাস উচ্চমাধ্যমিকেও
এ দিন সাংবাদিক সম্মেলনে মহুয়া দাস বলেন, 'মোট ১৪ হাজার ২০০ রিভিউ আবেদন পেয়েছি। কিছু আবেদন এখনও মেলে রয়েছে। এবার মাধ্যমিকের ৪০ শতাংশ, একাশের ৬০ শতাংশ এবং প্র্যাক্টিক্যালে প্রাপ্ত নম্বর নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকের মূল্যায়ন হবে, তা আগেই স্কুলগুলিকে জানিয়ে দিয়েছিল সংসদ। সেইমতো স্কুল যা পাঠিয়েছিল, তার ভিত্তিতেই মূল্যায়ন করা হয়েছে। কোথাও কোনও অসঙ্গতি চোখে পড়লে, পুনর্মূল্যায়নের আবেদন জানানোর সুযোগও দেওয়া হয়, যাতে কলেজে ভর্তি হতে সমস্যায় না পড়তে হয় পড়ুয়াদের।'
'বিক্ষোভে ভূমিকা ছিল না সংসদের'
বিক্ষোভ প্রসঙ্গে মহুয়া দাস বলেন, ফল প্রকাশের পর থেকে বিক্ষোভ চললেও তাতে সংসদের কোনও ভূমিকা ছিল না। বিক্ষোভে এমন পড়ুয়া ছিলেন, যাঁরা উচ্চ মাধ্যমিকের ফর্ম ফিলআপও করেননি। কয়েকজন পড়ুয়া এতটাই নম্বর কম পেয়েছেন যে মূল্যায়নের সময় তাঁদের পাশ করানো যায়নি।