scorecardresearch
 

Utsahsree Stopped: পুজোর আগে নতুন নিয়োগ! 'উৎসশ্রী'তে শিক্ষক বদলি বন্ধ করল পর্ষদ

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বদলির আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য গতবছর অগাস্টে চালু হয়েছিল   উৎসশ্রী পোর্টাল। আপাতত প্রাথমিক শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীদের বদলি প্রক্রিয়া আপাতত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Advertisement
প্রাথমিক শিক্ষক বদলির পোর্টাল আপাতত বন্ধ। প্রাথমিক শিক্ষক বদলির পোর্টাল আপাতত বন্ধ।
হাইলাইটস
  • হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে ১৮৭ জনকে ইন্টারভিউয়ে ডেকেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
  • উৎসশ্রী পোর্টালের মাধ্যমে শিক্ষকদের বদলি আপাতত স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।

গতবছর থেকে স্কুলশিক্ষকদের বদলির জন্য উৎসশ্রী পোর্টাল চালু করেছে রাজ্য সরকার।  সেই উৎসশ্রী পোর্টালের মাধ্যমে শিক্ষকদের বদলি আপাতত স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পুজোর আগে নতুন করে নিয়োগের জন্য ইন্টারভিউয়ে ডাকা হয়েছে ১৮৫ জনকে। সে কারণে এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।   

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বদলির আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য গতবছর অগাস্টে চালু হয়েছিল   উৎসশ্রী পোর্টাল। আপাতত প্রাথমিক শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীদের বদলি প্রক্রিয়া আপাতত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার কারণ হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, ১৮৭ জনকে নিয়োগের ইন্টারভিউয়ের ডাকা হয়েছে। উৎসশ্রী চালু থাকলে শিক্ষক নিয়োগে সমস্যা হতে পারে। 

বলে রাখি, হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে ১৮৭ জনকে ইন্টারভিউয়ে ডেকেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। শুক্রবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তারা জানিয়েছে, আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টা থেকে আচার্য ভবনে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে। তাতে মোট ১৮৭ জনের নামের তালিকা দেওয়া হয়েছে। ওইদিন সমস্ত নথি নিয়ে চাকরি প্রার্থী আচার্য ভবনে পৌঁছতে হবে। সেখানেই নথি যাচাই করে নেবেন পর্ষদ কর্তারা। নিয়ম অনুযায়ী ভাইভা বা মৌখিক পরীক্ষাও হবে ওই দিন। গোটা প্রক্রিয়া চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

২০১৪ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের টেট পরীক্ষায় ৬টি প্রশ্ন ভুল ছিল। ওই পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ২০১৬ এবং ২০১৯ সালে নিয়োগ করে রাজ্য সরকার। পৃথক ৬টি মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। মামলাকারীরা আর্জি করেছিলেন,৬টি প্রশ্ন ভুল ছিল। তার উত্তর দিয়েছিলেন তাঁরা। ফলে ওই প্রশ্নগুলির পুরো নম্বর তাঁদের প্রাপ্য। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ তৈরি হয় একটি বিশেষজ্ঞ দল। তাঁরা অনুসন্ধান করে হাইকোর্টকে রিপোর্ট দেয়, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় সংশ্লিষ্ট প্রশ্নগুলি ভুল ছিল। তাই পরীক্ষার্থীদের নম্বর বাড়ে। এই মামলাকারীদের বাড়তি নম্বর দেওয়ার বিষয়টি পর্ষদকে বিবেচনা করতে বলে হাইকোর্ট। পরের বছর ডিসেম্বরে সোহমদের ৬ নম্বর দেয় পর্ষদ। টেট উত্তীর্ণ হন তাঁরা। স্বাভাবিক তাঁরাও চাকরির দাবিদার হয়ে ওঠেন। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, ৬ বছর ধরে তাঁরা বঞ্চিত হয়েছেন। আর সময় দেওয়া সম্ভব নয়। তিনি নির্দেশ দেন,২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রথম ধাপে ২৩ জনকে চাকরিতে নিয়োগ করতে হবে। শূন্যপদ না থাকলে তা তৈরি করে এই ১৮৭ জনকে নিয়োগ করতে হবে বলে জানান বিচারপতি।

Advertisement

আরও পড়ুন- নতুন ব্যবসা কিনেই বড় ছেলেকে দিলেন আদানি, করণ হলেন চেয়ারম্যান

Advertisement