scorecardresearch
 

Loksabha Election 2024: দার্জিলিংয়ে TMC-র বাজি প্রাক্তন আমলা , BJP-র চ্যালেঞ্জ ভূমিপুত্র আর অনিত

Loksabha Election 2024: কিছুদিন আগেই রাজনীতিতে যোগ দেন অবসরপ্রাপ্ত আমলা গোপাল লামা। ২০০৮-০৯ সালে শিলিগুড়ির মহকুমা শাসক ছিলেন তিনি। এরপরে পর্যটন দফতরের যুগ্ম ডিরেক্টর পদেও ছিলেন গোপাল লামা। পরবর্তীকালে জিটিএ-র পর্যটন দফতরেও যোগ দেন গোপাল।

Advertisement
দার্জিলিংয়ে TMC-র বাজি প্রাক্তন আমলা , BJP-র চ্যালেঞ্জ ভূমিপুত্র আর অনিত দার্জিলিংয়ে TMC-র বাজি প্রাক্তন আমলা , BJP-র চ্যালেঞ্জ ভূমিপুত্র আর অনিত

Loksabha Election 2024: তৃণমূলের দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী গোপাল লামা। প্রাক্তন ডাব্লুবিসিএস অফিসার গোপাল লামার প্রশাসনিক দক্ষতা সর্বজনস্বীকৃত। তার পাশাপাশি  তিনি জেন্টলম্যান হিসেবে জেলায় পরিচিত। তাঁকে প্রার্থী করে তৃণমূল এক ঢিলে দুই শিকার করেছে। প্রথমত ভূমিপুত্র ইস্যুতে আগে থেকেই কিছুটা এগিয়ে শুরু করবে তারা। অন্যদিকে অনিত থাপা মনোনীত প্রার্থী গোপাল লামাকে প্রার্থী করায় অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রার্থী হিসেবে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অস্ত্র নেই বিরোধীদের। যদিও বিজেপির প্রার্থী হিসেবে এই কেন্দ্রে প্রাক্তন বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলার নাম ঘুরছে। তবে এলাকায় কাজ করার সুবাদে গোপাল লামা অনেকের কাছেই অনেক বেশি কাছের মানুষ।

কিছুদিন আগেই রাজনীতিতে যোগ দেন অবসরপ্রাপ্ত আমলা গোপাল লামা। ২০০৮-০৯ সালে শিলিগুড়ির মহকুমা শাসক ছিলেন তিনি। এরপরে পর্যটন দফতরের যুগ্ম ডিরেক্টর পদেও ছিলেন গোপাল লামা। পরবর্তীকালে জিটিএ-র পর্যটন দফতরেও যোগ দেন গোপাল।  বিজিপিএমে যোগ দেন প্রাক্তন এই প্রশাসনিক কর্তা। তিনি দলে যোগ দেওয়ার পরে অনিত থাপা বলেন, প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার সভাপতি তথা জিটিএ প্রধান অনিত থাপা বলেন, ‘গোপাল লামার প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা বিরাট। দার্জিলিং জেলার সঙ্গে ওঁর মাটির সম্পর্ক। বিভিন্ন স্তরে পরিচিতিও রয়েছে। আমরা দলের বিভিন্ন বিষয়ে ওঁর পরামর্শ নেব’। বিজিপিএমের সদস্য হিসেবে গত কয়েক মাসে একাধিক

কিছুদিন আগেই জানা গিয়েছিল যে তাঁর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আলোচনা হয়েছে এবং পাহাড়ের এই আসনে প্রার্থীও হবেন তিনি। এবার সেই জল্পনায় সিলমোহর পড়ে গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণাতেই।

কয়েকদিন আগে ব্রিগেডে যাওয়া নিয়ে বিজিপিএম সভাপতি অনিত থাপা জানিয়েছিলেন তাঁরা ব্রিগেডে যাবেন না। যেহেতু এটা তৃণমূলের ডাকা সভা। কিন্তু তিনি না গেলেও তাঁর দলের গোপাল লামা গিয়েছিলেন। কারণ তাঁর নাম ঘোষণা করা হবে বলে তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়। ফলে অনিতের সেই ঘোষণা যে আসলে ভোটের কৌশল ছিল তা পরিষ্কার। কারণ পাহাড়ের মানুষের কাছে এখনও সমতলের কোনও দলই কাছের দল হতে পারেনি। কিছুদিন ধরেই একক অনুষ্ঠান ও জনসংযোগ চালাচ্ছিল বিজিপিএম। এখন প্রচার করতে তাঁরা তৃণমূলের সঙ্গে একজোট হয়ে যান, না কি আলাদা প্রচার করেন, তা দেখার। কারণ যেভাবেই প্রচার করুন না কেন, তৃণমূলের প্রতীককেই প্রমোট করতে হবে তাঁদের।

Advertisement

পাহাড়ে এর আগে কংগ্রেস, সিপিএম, বিজেপি সব দলই পালা করে সাংসদ পেয়েছে। কিন্তু কোনও দলের ভূমিকাতেই পাহাড়ের মানুষ সন্তুষ্ট নন। বিজেপির উপর তাঁদের আশা ছিল, তারা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে। কিন্তু আসলে তারাও কথা রাখেনি বলে অভিযোগ স্থানীয় জনতা ও রাজনৈতিক দলগুলির। ফলে এবার একটা পালাবদলের পরিস্থিতি রয়েছে। তার উপর এতদিন পাহাড়ে যখন যে দল ক্ষমতায় ছিল, তাদের একক প্রভাব ছিল। এখন পাহাড়ে একাধিক দলের দাপট রয়েছে। একেক নির্বাচনে একেক দল জিতেছে। যদিও দল ভাঙিয়ে এখন সবই বিজিপিএম। তবে তাতে পাহাড়ের মানুষের কতটা সম্মতি রয়েছে তা ফের নির্বাচন এলে বোঝা যাবে। তবে বিজেপির পক্ষে এবার দার্জিলিং লোকসভা জয় সহজ হবে না।

 

Advertisement