Abhishek Banerjee vs Abhijit Das : ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণা করল বিজেপি। এই কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়াবেন অভিজিৎ দাস (ববি)। বিজেপি নেতৃত্বের তরফে ১২ নম্বর প্রার্থী তালিকায় এই অভিজিৎ দাসের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। অবশেষে সব জল্পনার অবসান। বিজেপি প্রার্থী কে হবে তা নিয়ে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল। সোনালী গুহ, শঙ্কুদেব পন্ডা, কৌস্তব বাগচী এদের মধ্যে কাউকে প্রার্থী করতে পারে বিজেপি, দাবি করা হচ্ছিল রাজনৈতিক মহলের তরফে। তবে অভিজিৎ দাসের উপরই আস্থা রাখল গেরুয়া শিবির। তাঁর নাম অভিজিৎ দাস হলেও তিনি ববি নামে বেশি পরিচিত।
এই কেন্দ্র থেকে ২০১৪ সালে লড়েছিলেন অভিজিৎ দাস (ববি)। সেবার ভোটে প্রথম লড়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। অভিজিৎ সেবার ভোটে দাঁড়ালেও তৃতীয় স্থানে শেষ করেন। তিনি ভোট পেয়েছিলেন ২ লাখ ৮৫৮ টি। শতাংশের হিসেবে যা ছিল ১৫.৯২ শতাংশ। সেখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পেয়েছিলেন ৫ লাখ ৮ হাজারেরও বেশি ভোট। শতাংশের হিসেবে ৪০.১৩। দ্বিতীয় স্থান পেয়েছিলেন সিপিআই এম প্রার্থী আবুল হাসনত। ২০০৯ সালের লোকসভা ভোটেও দাঁড়িয়েছিলেন অভিজিৎ দাস। সেবার ৩ শতাংশের কাছাকাছি ভোট পেয়েছিলেন অভিজিৎ। ৩৭ হাজারের কিছু বেশি ভোট পেয়েছিলেন তিনি। তবে ২০১৪ সালেই ২ লাখের বেশি ভোট পান।
ডায়মন্ড হারবারের পরিচিত মুখ অভিজিৎ দাস (ববি)। রাজ্য বিজেপির ইলেকশন ম্যানেজমেন্টের কো-কনভেনার হিসাবে কাজ করেছেন তিনি। বঙ্গ বিজেপির দাবি, অভিজিৎ দাস ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্রকে খুব ভালোভাবে চেনেন। কারণ, বিজেপির ডায়মন্ডহারবার সাংগঠনিক জেলার সভাপতি হিসাবে কাজ করেছেন তিনি। বিজেপির দাবি, দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত বিজেপি। তিনি দীর্ঘদিন ধরে সংগঠনের কাজ করে আসছেন। সেই কারণে তাঁর উপরই আস্থা রাখল বিজেপি।
প্রসঙ্গত, ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে কে প্রার্থী হবেন তা নিয়ে জল্পনার অন্ত ছিল না। ওই কেন্দ্রে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে এত কেন দেরি করছে বিজেপি, উঠছিল সেই প্রশ্নও। বিজেপি কোনও হেভিওয়েট প্রার্থী দেবে বলেই মনে করেছিল রাজনৈতিক মহল। কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে আসা কৌস্তভ বাগচী, প্রাক্তন বিধায়ক সোনালী গুহদের নাম ভেসে আসছিল। আবার অনেকে মনে করছিলেন অভিষেকের বিরুদ্ধে স্থানীয় কাউকে প্রার্থী করতে পারে গেরুয়া শিবির। অবশষে সেই জল্পনাই সত্যি হল। ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে এর আগে ২ বার ভোটে জিতে সাংসদ হয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারেও ওই কেন্দ্র থেকেই দাঁড়িয়েছেন তিনি।
প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা হওয়ার পর অভিজিৎ দাস জানান, তিনি জেতার বিষয়ে আশাবাদী। ২০০৯ সালে তিনি খুব সামান্য ভোট পেলেও ২০১৪ সালে দাগ কেটেছিলেন। এবারও তিনি ভালো ভোট পাবেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় ওই কেন্দ্রের সাংসদ হওয়ার পর থেকে সেখানে সুষ্ঠুভাবে ভোট হয় না।