BJP-তে সদ্য যোগ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। সূত্রের খবর, তাঁকে লোকসভা আসনে প্রার্থীও করবে বিজেপি। চর্চা চলছে, তমলুক লোকসভা আসনেই হয়তো প্রার্থী করা হবে পারে অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়কে। এহেন জল্পনার মধ্যেই আজ অর্থাত্ শুক্রবার নন্দীগ্রামে অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়ের নামে শুরু হয়ে গেল বিজেপি-র দেওয়াল লিখন। নন্দীগ্রাম মানে শুভেন্দু অধিকারীর বিধানসভা কেন্দ্র। ওই বিধানসভা কেন্দ্রটি পড়ে তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যেই।
নন্দীগ্রামে শুরু হয়ে গেল দেওয়াল লিখন
আজ সকাল থেকেই নন্দীগ্রামে অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়ের নামে দেওয়াল লিখন শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। যদিও তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে কে প্রার্থী হতে চলেছে বিজেপি-র, সেই তালিকা এখনও প্রকাশিত হয়নি। তবে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, তমলুক লোকসভা কেন্দ্রেই অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়কে টিকিট দিচ্ছে বিজেপি। সেই কারণেই নন্দীগ্রামে অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়ের নামে দেওয়াল লিখন শুরু করা হয়েছে।
অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ মমতার
বস্তুত, অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়ের রাজনীতিতে আসা ও বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার পর থেকেই চর্চায় ছিল, তাঁকে প্রার্থী করার বিষয়টি নিয়ে। বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও নাম না করে অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিশানা করেন। বলেন, 'যেখানেই দাঁড়াবেন ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে যাব, ওরাই লড়াই করবে। বিচারের চেয়ারে বসে বিজেপি বাবু, বিজেপি পার্টিতে যোগদান করার কথা ঘোষণা করছেন? এদের কাছে বিচার পাবেন? বিজেপি যা বলেছে, উনি তাই করেছেন। কী সব রায় দিয়েছে! আমরা বুঝতে পারতাম, রোজ অভিষেকের নাম করে করে গালি দিত। তবে আমি খুশি যে মুখোশটা খুলে গিয়েছে।'
'বাংলার প্রয়োজনে বিজেপির ক্ষমতায় আসার খুব দরকার'
বৃহস্পতিবার কলকাতার বিজেপি দফতরে গিয়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন প্রাক্তন বিচারপতি। তারপরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। জানিয়েছিলেন, কোথায় প্রার্থী হবেন, তা দল ঠিক করবে। তাঁর কথায়, 'আমাদের প্রথম উদ্দেশ হচ্ছে এই লোকসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গ থেকে একটা দুর্নীতিগ্রস্ত দল ও সরকারের বিদায়লগ্নের সূচনা করা। যাতে ২০২৬ এ তারা আর ক্ষমতায় আসতে না পারে। বাংলার প্রয়োজনে বিজেপির ক্ষমতায় আসার খুব দরকার। একজন বাঙালি হিসাবে খুব কষ্ট পাই যখন দেখি, বাংলা ক্রমাগত পিছিয়ে পড়ছে। তাই আমি সর্বভারতীয় দলে যোগ দিয়েছি।'