ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয়ে গেল 'বিজয় মিছিল'। কোচবিহারে বিজেপি আর তৃণমূল দু'দলই নিজেদের মতো করে জয় উদযাপন করেছে। একপক্ষ মিছিল করেছে। আর একপক্ষ মিষ্টিমুখে মেতে ওঠে। বিজেপি ও তৃণমূল দু'দলেরই দাবি,তারাই জিততে চলেছে। কোচবিহারের মতো ভোটের ফল ঘোষণার দেড় মাস আগে সেলিব্রেশন চলে চলেছে জলপাইগুড়িতেও।
ভোট ঘোষণার আগে থেকেই উত্তপ্ত ছিল কোচবিহার। নানা অশান্তির ঘটনাও ঘটেছে। ভোটের দিনও তার ব্যত্যয় ঘটেনি। একের পর এক হিংসার ঘটনায় নাম জড়িয়েছে তৃণমূল-বিজেপির। ভোট মেটার পর ইভিএম স্ট্রংরুমে যাওয়ার আগেই এক কাণ্ড! দু'দলই বিজয় মিছিল বের করে শহরে। চলে মিষ্টিমুখও। অনেকে আগেভাগে আবিরও খেলেন। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, ভোট ঘোষণা তো সেই জুনে, তার আগেই কেন 'বিজয় মিছিল'?
কোচবিহারে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিকের কথায়,'মানুষের রায় আমরা পড়ে ফেলেছি। তৃণমূলের জয় নিশ্চিত। ভোটের লাইনই বুঝিয়ে দিয়েছে। তাই এই মিছিল'।
কোচবিহারে বিজেপির জেলা সম্পাদক বিরাজ বসুর পাল্টা দাবি,'গতবারের থেকেও বেশি ভোটের ব্যবধানে জিতবেন নিশীথ প্রামাণিক। স্বতস্ফূর্ত ভোট হয়েছে'।
এদিকে, ভোট মিটতেই জলপাইগুড়িতে বিজয় মিছিল করে তৃণমূল। শুক্রবার রাতে প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়ের নেতৃত্বে শুরু হয় বিজয় মিছিল। ওই মিছিলে ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি মহুয়া গোপও। নির্মলচন্দ্র রায় বলেন,' লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের কারণে জলপাইগুড়ির মায়েরা দু'হাত তুলে আশীর্বাদ করেছেন। আমরা নিশ্চিত জলপাইগুড়ি লোকসভা আসন আমরা পুনরুদ্ধার করছি। বিপুল ভোটে জিতব'।
তৃণমূলের বিজয় মিছিল নিয়ে বিজেপি প্রার্থী জয়ন্তকুমার রায় বলেন 'অন্যান্য জায়গার ভোট এখনও বাকি। সেই সব এলাকার ভোটারদের প্রভাবিত করলেই ফল ঘোষণার আগে বিজয়মিছিল বের করেছে। মানুষ বিজেপির পক্ষে রায় দিয়েছে'।