scorecardresearch
 

EC On Presiding Officers: চাকরি বাতিল, ভোটের ডিউটি কীভাবে? BJP দিল 'বিকল্প', ষড়যন্ত্র দেখছেন মমতা

সূত্রের খবর, চাকরিহারাদের অনেককেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। কমিশনে গিয়ে সেই বিকল্পের 'হদিশ' দিয়ে এসেছে বিজেপি। তাদের দাবি, চাকরিহারাদের বাদ দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের কাজে লাগানো হোক। বিজেপির এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন মমতা।

Advertisement
লোকসভা ভোট ২০২৪ লোকসভা ভোট ২০২৪
হাইলাইটস
  • চাকরিহারাদের অনেকেই ভোটকর্মীর দায়িত্ব পেয়েছেন।
  • এবার কী হবে?

কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে বাতিল হয়ে গিয়েছে এসএসসি-র প্রায় ২৬ হাজার জনের চাকরি। যাঁরা চাকরি হারালেন, তাঁরা অনেকেই ভোটের দায়িত্বে ছিলেন। প্রশ্ন উঠছে,এখনও কি ওই দায়িত্ব সামলাতে পারবেন তাঁরা? সূত্রের খবর, চাকরিহারাদের অনেককেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। কমিশনে গিয়ে সেই বিকল্পের 'হদিশ' দিয়ে এসেছে বিজেপি। তাদের দাবি, চাকরিহারাদের বাদ দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের কাজে লাগানো হোক। বিজেপির এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে মমতা এ দিন বলেন,'চাকরি বাতিলের আসল উদ্দেশ্য এরা যেন ভোটে কাজ করতে না পারে। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের দিয়ে ভোট করাবে। আসলে বাংলার ছেলেমেয়েদের বিশ্বাস করতে পারে না'।

নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, চাকরিহারাদের অনেকেই ভোটকর্মীর দায়িত্ব পেয়েছেন। ৩ লক্ষেরও বেশি শিক্ষক ও অন্যান্য সরকারি কর্মীকে ভোটের কাজ দিয়েছে কমিশন। প্রায় ৩৫০০০ হাজার কর্মীকে রিজার্ভে রাখা হয়েছে। চাকরিহারাদের মধ্যে প্রায় ১৫,০০০ জন প্রিসাইডিং অফিসার। তবে ভোটের কাজে থাকা কতজনের চাকরি গিয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। সেই সংখ্যাটা হিসেব করা দরকার। এটা বলা যেতে পারে, অনেকেই নির্বাচন সংক্রান্ত কাজে যুক্ত। 

এদিকে, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ভোটের কাজে লাগানোর দাবি করেছে গেরুয়া শিবির। রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন,'২০১৬ সালে চাকরি পাওয়া শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আর ভোটের কাজে পাঠানো যাবে না। দ্বিতীয় দফার ভোট থেকে এদের পরিবর্তে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ করা হোক'।

আরও পড়ুন

তবে কমিশন সূত্রের খবর, জেলার আধিকারিকদের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে কতজন চাকরিহারা ভোটের কাজে জড়িত। তবে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে,প্রতিটি বুথের জন্যই রিজার্ভ ভোটকর্মী থাকেন। সেজন্য সমস্যা হওয়ার কথা নয়। 

গত সোমবার নিয়োগ মামলায় প্রায় ২৬ হাজার জনের চাকরি চলে গিয়েছে। ২০১৬ সালে এসএসসিতে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। নির্বাচন কমিশনের কাছে সেই সংক্রান্ত কোনও তালিকা নেই। এদিকে, হাইকোর্টের রায় চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছে এসএসসি ও পর্ষদ। কমিশন সূত্রের খবর, চাকরিহারাদের এখনও পর্যন্ত চিহ্নিতই করা যায়নি। এদিকে, শুক্রবার দ্বিতীয় ভোট। ভোটকর্মীদের বৃহস্পতিবার বিকেলের মধ্যে পৌঁছতে হবে সংশ্লিষ্ট এলাকায়। প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার আগে পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের তরফে এই সংক্রান্ত কোনও বিবৃতি আসেনি। 

Advertisement

Advertisement