ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নওশাদ সিদ্দিকি লড়ছেন না। বৃহস্পতিবারই তা স্পষ্ট হয়ে যায়। লোকসভা নির্বাচনের আগে বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফায় প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে আইএসএফ (ISF)। আইনজীবী মজনু লস্করকে এই কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করেছে আইএসএফ। এদিকে নাম ঘোষণা হতেই অভিষেককে আক্রমণ করলেন মজুন। চাঁচাছোলা ভাষা খোঁচা দিয়ে এই আইনজীবী বলেন, “আমার বিরুদ্ধে যিনি প্রার্থী হয়েছেন সেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বয়স তো ৩৬ বছর। আমার বয়স ৪২। তাহলে ভাইকে দাদা কী ভয় পায়? আপনারা আপনাদের ভাইকে কী ভয় পান?”
গত কয়েক মাস ধরেই ডায়মন্ড হারবারে ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ প্রার্থী হবেন বলে জল্পনা ছিল। যে হেতু তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ওই এলাকার সাংসদ, তাই ওই আসনে সংখ্যালঘু নেতা নওশাদের প্রার্থী হওয়া নিয়ে জোর গুঞ্জন ছিল। এর আগে অভিষেকের বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়া নিয়ে নওশাদ জানিয়েছিলেন, তাঁর দল তাঁকে মনোনয়ন দিলে তিনি ডায়মন্ড হারবারে প্রার্থী হবেন। কিন্তু আইএসএফ নেতৃত্ব তাঁকে প্রার্থী হওয়ার অনুমতি দেয়নি বলেই জানিয়েছেন তিনি।
ডায়মন্ড হারবারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিপক্ষ আইনজীবী মজনু লস্কর। ৪২ বছরের মজনু জিএসটি-আয়কর বিভাগ সংক্রান্ত আইনজীবী। তিনি বারুইপুরের বাসিন্দা। আইএসএফের আইনি বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন এই মজনু লস্কর। এছাড়া সংগঠনের শুরু থেকে তিনি সক্রিয়ভাবে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। মজনু ভারত সরকারের যুব দফতরের ‘আউটস্ট্যান্ডিং ইউথ অ্যাওয়ার্ড’ প্রাপ্ত। এই প্রোফাইলের ব্যক্তিকেই ডায়মন্ড হারবারের লড়াইয়ে এগিয়ে দেওয়া হল। আর ময়দানে নেমেই অভিষেককে নিশানা করে শুরু করে দিলেন আইএসএফ প্রার্থী। অভিষেকের সংসদে অনুপস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মজুন। বলেন, “অভিষেকবাবু খুব সমস্যার মধ্যে আছেন। ওনার চোখের যন্ত্রণা দিনের পর দিন বাড়ছে। পার্লামেন্টে বেশিরভাগ দিন অনুপস্থিত ছিলেন। ডায়মন্ড হারবারের মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য নিয়ে কিছুই বলেননি।” তবে অভিষেকের সুস্বাস্থ্য কামনা করে মজনু বলেছেন, “আমি ওর দাদা হিসাবে বলছি ভাল করে চোখের চিকিৎসা করুন। আমেরিকায় যেতে হলে যান। কারণ চোখ গেলে আর ফিরে পাওয়া যাবে না। আপনি আপনার স্বাস্থ্যটা আগে বাঁচান। আমি আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করি। কথা দিচ্ছি দাদা হিসাবে আপনার পাশে থাকব।”