মানুষ প্রতিবাদ করলেই এনআইএ ঢুকিয়ে দিচ্ছে। আরও একবার ভূপনিনগরের ঘটনায় বিজেপির ঘাড়েই দোষ চাপালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেত্রী বলেন,'মধ্যরাতে মহিলারা ঘুমোচ্ছে। গদ্দারের এলাকায় মধ্যরাতে পুলিশকে না জানিয়ে চলে গেল। পুলিশের পোশাক পরে অন্য কেউ তো আসতে পারে! সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামে বদমায়েইশি করেছে। মা-বোনেরা প্রতিবাদ করল। তাঁদের বিরুদ্ধে ডায়েরি করে দিয়েছে'।
রাম নবমীর দিন রাজ্যে হিংসা হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মমতা। তাঁর কথায়,'আবার রাম নবমী আসছে। একটা চকোলেট বোমা পড়লেই এনআইএ-কে ঢুকিয়ে দেবে। এখানে পুরুলিয়াতে গিয়ে খোঁজ নিচ্ছে কোন দলের কে হোটেলে থাকছে? তোমার কী কাজ? কোন হোটেলে কোন পার্টির লোক থাকবে? নির্বাচনের সময় আমরা সরকারের জায়গায় থাকি না। কর্মসূচিতে যে হেলিকপ্টার নিয়ে যাই, সেটাও দলের টাকায় ভাড়ায়। একদিকে এনআইএ আর একদিকে সিবিআই বিজেপির ভাই ভাই'।
মমতার সংযোজন,'আমাদের আছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, ওদের আছে ইডির ভাণ্ডার। ভয় দেখাচ্ছে, ডেকে নিয়ে গিয়ে বলছে বিজেপি করো, তোমায় ছেড়ে দেব। কোনওদিন ভারতে এই পরিস্থিতি আপনারা দেখেছেন! একটা স্বৈরাচারী সরকার, অশুভ সরকার, অনাচারের সরকার। সারা ভারতে বেকারের সঙ্গে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। মোদীবাবু আপনার গ্যারান্টি মানে গরিব লোকের টাকা বন্ধ করা, একশো দিনের কাজে টাকা বন্ধ করা। গদ্দারের কথায় দুর্নীতি দেখার জন্য ১৩৬টি কমিটি পাঠিয়েছিলেন। তদন্ত করে কী করলেন সেটা প্রকাশ করুন'।
ভূপতিনগরে বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্তে তৃণমূল নেতাকে আটক করতে গিয়েছিলেন এনআইএ আধিকারিকরা। ভোররাতের সেই অন্ধকারেই তাঁদের উপর চড়াও হয় গ্রামবাসীদের একাংশ। ছোঁড়া হয় ইঁট-পাথর। ভেঙে দেওয়া হয় NIA-এর গাড়ির কাঁচ। জানা গিয়েছে, তদন্তকারীরা গ্রামে পৌঁছে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করতে গেলেই তুমুল ধস্তাধস্তি শুরু হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই ব্যক্তিকে নিয়ে আসার সময়ে গ্রামবাসীদের একাংশ অফিসারদের ওপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। কেন্দ্রীয় আধিকারিকদের দাবি, ভোররাতের অন্ধকারে ছোঁড়া হয় ইঁট। গাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা বাদল মাইতি ও মানবেন্দ্র জানাকে আটক করে NIA। তাঁদের নিয়ে আসার সময়ই হামলার মুখে পড়তে হয়। আক্রমণের ঘটনায় স্থানীয় থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করেছে NIA। মানবেন্দ্র জানা এবং অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে এনআইএ টিম একটি অভিযোগ দায়ের করেছে বলে জানা গিয়েছে।