গত রবিবার তৃণমূলের ব্রিগেড মঞ্চ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে প্রার্থীদের নাম। সেই তালিকায় নাম রয়েছে দিদি নম্বর ১ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। জল্পনা আগে থেকেই ছিল যে রচনা এই বছরের নির্বাচনে প্রার্থী হবেন। তবে তা নিশ্চিত হয় ব্রিগেডের মঞ্চে। হুগলি থেকে লড়বেন রচনা। শনিবার লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণার দিনই হুগলিতে প্রথম প্রচারে নামলেন 'দিদি নম্বর ১'। আর সেখানেই জানিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রচনাকে কেন প্রার্থী করলেন।
বড়পর্দা থেকে বহু আগেই বিদায় নিয়েছেন রচনা। তবে তাঁর জনপ্রিয়তা একটুও কমেনি। বরং তা দ্বিগুণ হয়েছে দিদি নম্বর ১-এর জন্য। এই নন-ফিকশন শো-এর কারণে রচনা ইতিমধ্যেই বংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়েছেন। এবার টিভির পর্দা ছেড়ে রাজনীতির ময়দানে রচনা তাঁর ক্যারিশমা দেখাতে প্রস্তুত। শনিবার সিঙ্গুরের ডাকাত কালীবাড়িতে মায়ের থানে পুজো দিয়ে হুগলিবাসীর সঙ্গে জনসংযোগ শুরু করলেন দিদি নং ১। এদিন রচনা পরেছিলেন মাল্টি রঙের হ্যান্ডলুম শাড়ি, ঘিয়ে রযের ফুলস্লিভ ব্লাউজ ও পায়ে স্নিকার। হ্যাঁ, এভাবেই হুগলিতে প্রথমদিনের প্রচারে দেখা গেল রচনাকে।
এদিন সিঙ্গুরে রচনার জন্য জনসভার আয়োজন করেছিলেন স্থানীয় তৃণমূল। সেখানে ব্রিগেড মঞ্চের ধাঁচে বানানো হয় র্যাম্প। সেখানেই রচনা জানান যে কেন তাঁকে রাজনীতিতে নিয়ে এলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রচনা বলেন, 'আমাকে হুগলিতে পাঠিয়েছেন, আমার ওপর ভরসা রেখেছেন, তার জন্য আমি মুখ্যমন্ত্রী ও অভিষোক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কৃতজ্ঞ। আমি চেষ্টা করব দিদি যে আমার ওপর ভরসা করেছেন তা জান-প্রাণ দিয়ে সেই ভরসার প্রাণ রাখতে। আজ আমি এখানে এসেছি তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়ে এটাই আমার কাছে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হয়ে থাকবে, আমরা দেখিয়ে দেব ২০২৪-এর লোকসভা ভোটে কারা জয়ী হয়।' এরপরই রচনা বলেন, 'দিদি আমাকে এখানে অনেক আশা-প্রত্যাশা নিয়ে আপনাদের কাছে পাঠিয়েছেন, আমরা নারীশক্তিতে বিশ্বাসী, সেই মহিলাদের একজোট হয়ে এগিয়ে আসতে হবে।' আর রচনার এই কথাতেই স্পষ্ট যে মহিলা ভোটব্যাঙ্ক বাড়াতেই রচনাকে রাজনীতির ময়দানে আনা হয়েছে।
প্রার্থী ঘোষণার কিছুদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখা গিয়েছিল রচনার শো দিদি নম্বর ১-এ অংশ নিতে। আর তখন থেকেই অভিনেত্রীর রাজনীতিতে আসা নিয়ে জল্পনা ক্রমেই বাড়ছিল। প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনে হুগলিতে এবার হতে চলেছে কড়া টক্কর। ওই কেন্দ্রে ফের একবার লকেট চট্টোপাধ্যায়কে টিকিট দিয়েছে বিজেপি। গতবারেও ওই কেন্দ্র থেকে জয়ী হন লকেট। উলটো দিকে এবার হুগলি থেকে রচনাকে দাঁড় করিয়েছে তৃণমূল। সেই জায়গা থেকে এবার রাজনৈতিক ময়দানে দুই অভিনেত্রীর লড়াই দেখতে চলেছেন হুগলির ভোটাররা।
প্রথমদিনের প্রচারে এসে রচনা নিজের নামে দেওয়াল লিখন করেন। প্রথম দিনের প্রচারে এসে তিনি লোকাল এমএলএ ও তৃণমূলের কর্মীবৃন্দদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং আগামীতে নির্বাচনে প্রচারের পরিকল্পনা করেন।