২০২১ সালের বিধানসভায় একজনও বিধায়ক ছিল না কংগ্রেসের। স্বাধীনতার পর এমন দিন কখনও আসেনি। সাগরদিঘির বায়রন বিশ্বাস নেই ক্ষতে খানিকটা হলেও মলম দিল। শূন্য থেকে একে পৌঁছল অধীর চৌধুরীর দল। ২২ হাজার ৯৮০ ভোটের ব্যবধানে জিতলেন বায়রন। কংগ্রেসের জয়ে বিজেপি, কংগ্রেস ও বামেদের আঁতাঁত দেখছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কটাক্ষ, এটা কংগ্রেসের নৈতিক পরাজয়।
সাগরদিঘিতে কংগ্রেসের জয়ে তিন দলের যোগসাজশ দেখছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে বাম-কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির অভিযোগও করলেন। মমতার কথায়,'বিজেপির থেকেও বেশি সাম্প্রদায়িক কার্ড খেলেছে বাম-কংগ্রেস। ওরা নির্বাচনে জিততে পারে, তবে এটা নৈতিক পরাজয়। তিন শক্তির বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করব। উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। আমরা মানুষের জন্য যা করেছি গোটা বিশ্বে কেউ করেনি।'
ভোট প্রবণতায় কংগ্রেসের জয় স্পষ্ট হতেই কর্মীদের সঙ্গে উচ্ছ্বাসে মাতেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন,'ভোটের ফলে খুব খুশি। সাগরদিঘির ফল প্রমাণ করছে রাজ্যে তৃণমূল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও অপরাজেয় শক্তি নয়। এমন নয় যে তাদের পরাজিত করা যায় না। তা প্রমাণ করে দিল এখানকার মানুষ।'
বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'প্রবল মেরুকরণ তৃণমূলকে হারানোর জন্য তৈরি হয়ে যাওয়ার পরও বিজেপির এখনও পর্যন্ত যে প্রাপ্ত ভোট তা আমাদের সাংগঠনিক ক্ষমতার নিরিখে আশানুরূপ। ভোট শেষ হলে চূড়ান্ত ফল জানা যাবে। সংগঠন না থাকার কারণে সমস্ত সংখ্যালঘু এলাকায় আমাদের পোলিং এজেন্টরা বসতে পারেননি। এবার আমরা এজেন্ট দিতে সক্ষম হয়েছি।'
তৃণমূল বিধায়ক সুব্রত সাহার মৃত্যুর পর খালি হয় সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্র। এই কেন্দ্রে প্রচার করে গিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মনে করিয়ে দিয়ে গিয়েছিলেন, এই নির্বাচনকে হালকাভাবে নেবেন না। উপনির্বাচনে তৃণমূলকে জেতাতে হবে। কিন্তু ভোটের ফলে স্পষ্ট, রাজ্যের শাসক দলকে ছাপিয়ে গিয়েছে কংগ্রেস। ধোপে টিকল না বিজেপি ও বাম-কংগ্রেস আঁতাঁতের অভিযোগও।
আরও পড়ুন- ত্রিপুরায় তৃণমূলের চেয়ে এগিয়ে NOTA, কোনওক্রমে জিতলেন বিজেপির মানিক