Narendra Modi Election Campaign: "চা বাগানের সমস্য়া কারও কাছে লুকনো নেই। বাঙলার চা বাগানের হাল সবচেয়ে খারাপ। রবিবার জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে জনসভা থেকে বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। চা বাগানের দুরবস্থা ও বন্ধ বাগানগুলির বেহাল দশার জন্য তিনি তৃণমূল ও তার নেতাদের দুষেছেন। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর সভার কিছুক্ষণ আগে এদিনই মজুরির দাবিতে ভারত-ভুটান সড়ক অবরোধ করলেন মহিলা চা শ্রমিকরা। রবিবার সকাল ৮টা থেকে কেন্দ্রীয় সরকার অধিগৃহীত অ্যান্ড্রু ইউল গ্রুপের নিউ ডুয়ার্স চা বাগানে শ্রমিকরা অবরোধে শামিল হন। প্রধানমন্ত্রীর কানে সে খবর গিয়েছে কি না, জানা নেই, তবে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে সার্বিক পরিস্থিতির জন্য রাজ্যের শাসকদলকেই তুলোধোনা করেন।
চা বাগান নিয়ে কী বললেন মোদী?
তিনি বলেন, "চা বাগানের সমস্য়া কারও কাছে লুকনো নেই। বাঙলার চা বাগানের হাল সবচেয়ে খারাপ। টিমসির ছোট ছোট নেতা বড় বড় বাংলোতে থাকেন। কর্মীরা সুবিধা পাচ্ছে না। চা বাগানকে খারাপ অবস্থায় নিয়ে গিয়েছে তারা। অনেক বাগান বন্ধ হয়ে গিয়েছে।" এ জন্য এই নির্বাচনে টিএমসিকে 'সবক' শেখানো জরুরি বলে দাবি করেন তিনি। এমনকী নির্বাচনে তাঁদের প্রার্থীদের জামানত বাজেয়াপ্ত করার দাবি দেন।
রবিবার সকাল ৮টা থেকে কেন্দ্রীয় সরকার অধিগৃহীত অ্যান্ড্রু ইউল গ্রুপের নিউ ডুয়ার্স চা বাগানে শ্রমিকরা অবরোধে শামিল হন। শ্রমিকেরা জানান, দীর্ঘ ৭ সপ্তাহ ধরে তারা তাঁদের কাজের মজুরি পাচ্ছেন না। এমনকি, পিএফের টাকাও বিগত ১১ মাস ধরে জমা পড়ছে না। সমস্যার সমাধান না হলে তাঁরা কাউকেই ভোট দেবেন না বলে ঘোষণা করেন। শ্রমিকরা জানান, ৭ সপ্তাহের মজুরিই শুধু নয়। বর্ধিত মজুরির এরিয়ারের টাকাও বাকি আছে। ম্যানেজারের কাছে চাইতে গেলে শুধু বলে ওপর থেকে আসেনি।
এদিকে যুব তৃণমূল কংগ্রেসের জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির সভাপতি সন্দীপ ছেত্রী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, যে বাগানটি নিয়ে সমস্য়া তৈরি হয়েছে, তা কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থার আওতাধীন। ফলে এর দায় কেন্দ্রকেই নিতে হবে। যদিও চা বাগানের পরিস্থিতি নিয়ে তৃণমূূলকেই দুষলেন মোদী।