যেভাবে রাজনৈতিক দলগুলি ভোট প্রচার শুরু করে দিয়েছে তাতে বলার অপেক্ষা রাখে না সামনেই বাংলার সবচেয়ে বড় ভোটযুদ্ধ। বঙ্গদেশের ক্ষমতায় আগামী ৫ বছর কে থাকবে তার মহালড়াই শুরু হয়ে গিয়েছে। নির্বাচন কমিশনও নিজেদের তৎপরতা বাড়িয়ে দিয়েছে। শোনা যাচ্ছে এবার গরমের কারণে ভোটের সময় কিছুটা এগিয়ে আনতে পার কমিশন। যা পরিস্থিতি তাতে আর কিছুদিনের মধ্যেই হয়ে যেতে পারে নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশ। আর এই আবহেই রাজ্যে চলে এল ১২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। জানা যাচ্ছে কাশ্মীর থেকে বিশেষ ট্রেনে করে রাজ্যে এল এই ১২ কোম্পানি সিআরপিএফ।
শনিবার সকালেই রাজ্যে ঢুকে পড়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এই ১২ কোম্পানি সিআরপিএফের মধ্যে এদিন সকালে দুর্বাপুরে নামে ২ কোম্পানি। তাঁদের স্বাগত জানাতে স্টেশনে উপস্থিত ছিলেন সিআরপিএফ-র আধিকারিক ও রাজ্য পুলিশের পদস্থ আধিকারিকরা। বাকি ১৯ কোম্পানি সিআরপিএফ-এর মধ্যে ১ কোম্পানি বীরভূম, ১ কোম্পানি বাঁকুড়ায় যাবে। বর্ধমানে মোতায়েন হবে ১ কোম্পানি সিআরপিএফ, ডানকুনিতে নামবে ৫ কোম্পানি এবং কলকাতা স্টেশনে ৪ কোম্পানি সিআরপিএফ নামবে।
সূত্রের খবর, সব ঠিক থাকলে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আরও কয়েক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে আসবে । প্রাথমিক ভাবে রাজ্যকে ১২৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানোর কথা জানিয়ে দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। বিধানসভা নির্বাচনে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ৬০ কোম্পানি সিআরপিএফ পাঠানোর কথা জানানো হয়েছে দিল্লির তরফে। এছাড়াও সিআইএসএফ, আইটিবিপি, এসএসবি, বিএসএফ সহ মোট ১২৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হবে পশ্চিমবঙ্গে।
নিরাপত্তা ইস্যুতে ইতিমধ্যেই চড়তে শুরু করেছে রাজনৈতিক তরজার পারদ। প্রতিদিনই নিজেদের কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ তুলছে বিজেপি শিবির। অন্যদিকে তৃণমূল পিছিয়ে নেই। তারাও গেরুয়া শিবিরকে অশান্তি ছড়ানোর জন্য নিশানা করছে। এবারের ভোটে যে ব্যাপক হিংসা হবে এমন আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর আর এই প্রেক্ষাপটে ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার আগেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর রাজ্যে চলে আসা তাই অত্যন্ত ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।