রাজ্যে ক্রমেই নিজেদের মাটি শক্ত করছে অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (All India Majlis-E Ittehadul Muslimeen বা মিম)। দিন কয়েক আগে তারা এখানে পর্যবেক্ষক পাঠিয়েছিল। এবার দলের বিভিন্ন নেতারা জেলা সফর শুরু করেছেন।
জেলা সফরের কাজে শুরু হয়ে গিয়েছে। সাংগঠনিক ভাবে তারা এ রাজ্যকে ৫টি জোনে ভাগ করেছে। সেখানেই যাচ্ছেন নেতারা। যাঁরা জেলা সফরে এসেছেন তাঁরা মূলত হায়দ্রাবাদের কাউন্সিলর।
আগেই ঘোষণা করেছিলেন বাংলার বিধানসভা ভোটে লড়বেন। এবার ৮ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করলেন অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (All India Majlis-E Ittehadul Muslimeen)-এর প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি (Asaduddin Owaisi)। দিন কয়েক আগে দলের তরফ থেকে ওই ৮ জনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আহমেদ পাশা কাদরীর সই করা একটি চিঠি সংবাদমাধ্যমের হাতে এসেছে। যেখানে কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। কোন জেলার জন্য কে, তা বিস্তারিত জানানো হয়েছে।
কোন কোন জেলায় পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে
মিম-এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, কলকাতা এবং দক্ষিণবঙ্গের জন্য জাফর হোসেন মিরাজ এবং মৃজা রিয়াজ উল হাসান ইফেন্ডিকে পর্যবেক্ষক করে পাঠানো হয়েছে। জাফর তেলেঙ্গানার নামপল্লি এবং মৃজা সে রাজ্যের বিধান পরিষদ সদস্য। তাদের দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে রয়েছে হাওড়া, হুগলি, দুই মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান বর্ধমান, উত্তর ২৪ পরগনা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা।
মুর্শিদাবাদ বীরভূম এবং নদীয়ার জন্য নিয়োগ করা হয়েছে এক বিধায়ক এবং এক যুব নেতাকে। তাঁরা হলেন বিহারের আমৌরের বিধায়ক আখতার উল ইমান এবং বিহারের মিম-এর যুব সভাপতি আদিল হাসান।
উত্তর এবং দক্ষিণ দিনাজপুর, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে জন্য পর্যবেক্ষক পদ পেয়েছেন বিহারের ২ বিধায়ক। তাঁরা হলেন শাহনওয়াজ এবং হাজি মহম্মদ ইজহার আসফি। শাহনওয়াজ বিহারের জোকিহাট এবং ইজহার কোচাধামানের বিধায়ক।
অন্যদিকে শুধু মালদার জন্য বিহারের ২ বিধায়ককে পর্যবেক্ষণ করে পাঠানো হয়েছে। তাঁরা হলেন সৈয়দ রুকুনুদ্দিন আহমেদ এবং আনজার নায়েমি।
কিছুদিন আগে মিম প্রধান আসাউদ্দিন ওয়াইসি ফুরফুরা শরিফে এসেছিলেন। এবং পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গে বৈঠক করেন। তিনি পরে জ্বালিয়েছিলেন আব্বাস সিদ্দিকির নেতৃত্বে কাজ করবে এবং রাজ্যে ভোটে লড়বেন। তিনি ফুরফুরা শরিফের প্রার্থনা করেন। পরে সেখানে পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে বৈঠক করেন।
তিনি কলকাতা থেকে সোজা চলে যান ফুরফুরা শরিফে। সেখানে প্রার্থনা করেন। পরে পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে বৈঠক করেন। দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গেও আলোচনা করবেন তিনি।