"রাজ্যে দুর্নীতির রাজত্ব চলছে। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির কনভয়ে হামলা হয় ভাইপোর এলাকায়। সাংসদ সুনীল মণ্ডলের (Sunil Kumar Mandal) ওপর হামলাও পরিকল্পিত।" পূর্ব বর্ধমানে এমনটাই বললেন বিজেপির (BJP) সম্পাদক তথা পশ্চিমবঙ্গের সহকারী পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন (Arvind Menon)। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখ হয়ে মেননের অভিযোগ, "দেশের সব জায়গায় বিজেপির সরকার নেই। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গই একমাত্র জায়গা, যেখানে কেন্দ্রের প্রকল্পগুলির সুবিধা মানুষকে নিতে দেওয়া হয় না। আমি নিজে বিরোধী শাসিত কেরলের মানুষ। সেখানেও এমন হয় না।"
প্রসঙ্গত দিন কয়েক আগে ডায়মন্ডহারবারে সভা করতে যাওয়ার সময় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলা হয়। কনভয় লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ইট পাথর। ভেঙে যায় একাধিক গাড়ির কাঁচ। সেই ঘটনাকে ঘিরে বিস্তর জলঘোলা হয় রাজ্য রাজনীতিতে। একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ পালটা অভিযোগ নিয়ে ময়দানে নেমে পড়ে তৃণমল - বিজেপি। ঘটনায় হস্তক্ষেপ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকও। রিপোর্ট তলব করা হয় রাজ্যপালের থেকে। এমনকি হামলা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে সরব হন রাজ্যপালও।
এদিকে শনিবার হেস্টিংসে সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া সুনীলকুমার মণ্ডল তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। তাঁর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা। পুলিশের হস্তক্ষেপে তাঁকে উদ্ধার পৌঁছে দেওয়া হয় বিজেপির কার্যালয় পর্যন্ত। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেও ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। গোটা ঘটনার কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানান কৈলাস বিজয়বর্গীয়। এরপরেই জানা যায় কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়া হবে সুনীলকুমার মণ্ডলকে। ঘটনার প্রেক্ষিতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, "লজ্জা লাগছে ২১ বছর দলটা করেছি।" শুভেন্দুর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে রবিবার তাঁকে পালটা জবাব দেন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।