এরাজ্যে ক্রমশই সক্রিয় হয়ে উঠছে আসাদুদ্দিন ওয়েইসির (Asaduddin Owaisi) অল ইন্ডিয়া মজলিশ এ ইত্তেহাদুল মুসলিমিন বা AIMIM। শনিবার বহরমপুর (Berhampore) ঋত্বিক সদনে এক কর্মীসভার আয়োজন করা হয় মিমের পক্ষ থেকে। সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন হায়দ্রাবাদের (Hyderabad) প্রাক্তন মেয়র তথা বিহার বিধানসভা নির্বাচনে দলের পর্যবেক্ষক মহম্মদ মাজিদ হোসেন। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার পর্যবেক্ষক হিসেবও তাঁকেই দায়িত্ব দিয়েছে মিম। সভায় তিনি বলেন, 'সংখ্যালঘু ভোটারদের মন জয় করতে রাজ্যের শাসক দল ও কেন্দ্রের বিজেপি মরিয়া হয়ে উঠেছে, আর তা মানুষ বুঝতে পেরেছেন। তাই মিমের পাল্লা ভারি।' তবে নির্বাচনে ঠিক কত আসনে মিম প্রার্থী দেবে সেই বিষয়ে অবশ্য স্পষ্ট করে কিছু বলেননি মাজিদ হোসেন। এদিনের সভায় মাজিদ হোসেন ছাড়াও ছিলেন, জেলার পর্যবেক্ষক আসাদুল ইসলাম সহ শীর্ষ নেতৃত্ব। পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কর্মী সমর্থকেরা এদিন যোগ দেন সভায়। তাঁদের মধ্যে যুব সম্প্রদায়ের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত।
বিহার বিধানসভা নির্বাচনে ৫টি আসন জয়ের পরেই বাংলায় প্রার্থী দেওযার কথা ঘোষণা করেন মিম প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়েইসি। সম্প্রতি রাজ্যে এসে পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গে দেখাও করেছেন তিনি। পরে ওয়েইসি জানান, 'নির্বাচনে আব্বাস সিদ্দিকীর পাশে থেকেই লড়বে মিম।' যদিও ওয়েইসির এই আগমনকে তীব্র কটক্ষ করেছেন ত্বহা সিদ্দিকী।
প্রসঙ্গত মিম বাংলায় প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা করার পর থেকেই নির্বাচনে রাজ্যের ভোট ভাগের সমীকরণ নিয়ে নতুন করে অঙ্ক কষতে শুরু করে দিয়েছে রাজনৈতিক মহল। কারণ মিম এরাজ্যের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে আদতে তৃণমূলের দখলে থাকা সংখ্যালঘু ভোট ভাগ হতে পারে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। যা রাজ্যের শাসক দলের পক্ষে একেবারেই ভাল বার্তা নয় বলেই মত কারও কারও। ইতিমধ্যেই মিমের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে তৃণমূলও। মিমকে বিজেপির 'বি টিম' বলে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে ঘাসফুল শিবির।