খেজুরিতে (Khejuri) বিজেপি (BJP) নেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সভা। তার আগেই পূর্ব মেদিনীপুরের (East Midnapore) ২ জায়গায় বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা। আহত বিজেপির এক মন্ডল সভাপতি সহ বেশ কয়েকজন। ঘটনায় অভিযোগ তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। শুভেন্দুর সভার আগেই এই জোড়া হামলার ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।
অভিযোগ, মঙ্গলবার সকালে খেজুরি থেকে বাস ও বাইকে করে বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা যাওয়ার সময় বিদ্যাপিঠ মোড় পেরোনোর পরেই তাঁদের ওপর হামলা চালান হয়। ভাঙচুর চালান হয় বেশ কয়েকটি বাসে। মারধরও করা হয় বিজেপি কর্মীদের। মারধরে ১ মন্ডল সভাপতি সহ বিজেপির মোট ৪ জন আহত হন বলে অভিযোগ। অন্যদিকে কাঁথি এলাকাতেও বিজেপির ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। সেখানে বাস থেকে নামিয়ে মারধর করা হয়েছে বিজেপি কর্মী সমর্থকদরে। পাশপাশি ভাঙচুর চালানো হয়েছে বাসে। ঘটনার পরেই এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। যাতে নতুন করে কোনও উত্তেজনা না ছড়ায় সেদিকে নজর রাখছেন পুলিশ কর্মীরা।
এদিকে এই ঘটনায় তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিজেপি। স্থানীয় এক বিজেপি নেতার অভিযোগ, ওই সমস্ত এলাকায় প্রায় হাজার দশেক মানুষ আটকে রয়েছেন। আহত মন্ডল সভাপতিকে উদ্ধারের জন্য অ্যাম্বুল্যান্স পাঠানো হয়েছে। গোটা ঘটনায় পুলিশ প্রশাসন নির্বাক দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে বলেই অভিযোগ বিজেপির। ওই বিজেপি নেতার আরও অভিযোগ, চাটুকার প্রশাসন ও জেহাদিরা ছাড়া শাসক দলের সঙ্গে আর কেউ নেই। এরা যাওয়ার আগে মানুষের মধ্যে বিভেদ লাগানোর চেষ্টা করছে। মানুষ এদের কবর খুঁড়ে রেখেছ।
যদিও বিজেপির এই অভিযোগ পুরোপুরি খারিজ করে দিয়েছে তৃণমূল। এই প্রসঙ্গে এক নেতামূল নেতার পালটা দাবি, মিথ্যা বলে তৃণমূলকে কলুষিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ওরা নিজেরা গণ্ডগোল পাকিয়ে তৃণমূলের ওপরে দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে যাতে মানুষের সমর্থন পাওয়া যায়, তবে তাতে ওরা সফল হবে না। ওই তৃণমূল নেতার কথায়, খেজুরির মাটি শক্ত ঘাঁটি।