scorecardresearch
 

বিশ্বভারতীতে অনৈতিক কাজ চলে TMC-র মদতে, অর্মত্য সেনের জমি বিতর্কে নিশানা দিলীপের

বিশ্বভারতীতে নোবেলজয়ী অর্মত্য সেনের জমি বিষয়ে গতকালই মুখ খুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন আজ বিশ্বভারতী প্রসঙ্গে তৃণমূলকে বিঁধলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন তিনি বলেন, বিশ্বভারতীতে লুঠপাট চলে তৃণমূলের মদতেই।

Advertisement
বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ফাইল ছবি বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ফাইল ছবি
হাইলাইটস
  • তৃণমূলকে কটাক্ষ দিলীপের
  • বিশ্বভারতী বিতর্কে মুখ খুললেন তিনি
  • একাধিক ইস্যুতে আক্রমণ দিলীপের

বিশ্বভারতীতে নোবেলজয়ী অর্মত্য সেনের জমি বিষয়ে গতকালই মুখ খুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন আজ বিশ্বভারতী প্রসঙ্গে তৃণমূলকে বিঁধলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন তিনি বলেন,বিশ্বভারতীতে লুঠপাট চলে তৃণমূলের মদতেই।  

কী বললেন দিলীপ

এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন,  "বিশ্বভারতী তাদের নিয়ম অনুযায়ী কাজ করবে। বিশ্বভারতীতে লুটপাট হয়েছে এমনকি দেয়াল ভেঙে সেখানে জমি দখল করার চেষ্টা চলছে। তৃণমূল এসবের পিছনে রয়েছে। ওদের মদতেই সব চলছে। মানুষ সবকিছু বুঝতে পারছে। প্রসঙ্গত নোবেলজয়ী অর্মত্য সেনের জমি বিতর্ক সামনে আসতেই বৃহস্পতিবার এই বিষয়ে মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ”অমর্ত্য সেন হঠাৎ কেন বিশ্বভারতীর জমি দখল করতে যাবেন? আসলে উনি আদর্শগতভাবে বিজেপি বিরোধিতা করেন, তাই ওনাকে নিয়ে এই চক্রান্ত।”

আরও পড়ুন, 'উনি ১০০টার মধ্যে ৯৯টাই মিথ্যে কথা বলেন,' মমতাকে কটাক্ষ মুকুলের

মুখ্যমন্ত্রী না থাকা নিয়েও বিতর্ক

অন্যদিকে বিশ্বভারতীর অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী না থাকা নিয়েও শুরু হয়েছে বিতর্ক। নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দেন বিশ্বভারতীর শতবর্ষের অনুষ্ঠানে তিনি কোনও আমন্ত্রণপত্রই পাননি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, "ওঁরা কখন আমায় আমন্ত্রণ করল?আজকের অনুষ্ঠানের জন্য আমি কোনও আমন্ত্রণ পাইনি।" পাশাপাশি বিশ্বভারতীর বৃহস্পতিবারের অনুষ্ঠানকে বিজেপির দলীয় বলেও কটাক্ষ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

বিজেপি বনাম তৃণমূল তরজা তুঙ্গে

প্রসঙ্গত,বিশ্বভারতীর আমন্ত্রণ বিতর্ক নিয়ে বিজেপি বনাম তৃণমূল তরজা তুঙ্গে। বিজেপির দাবি চলতি মাসের ৪ তারিখ আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা অমিত মালব্য ট্যুইট করে জানান, মুখ্যমন্ত্রীকে ৪ তারিখই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে আমন্ত্রণ পত্র পাঠানো হয়েছিল। কিন্ত তাঁর কাছে কবিগুরুর সম্মানের থেকে রাজনীতিটা বড়। এর আগে কোনও মুখ্যমন্ত্রী কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে এতো বড় অপমান করেননি। মুখ্যমন্ত্রী নিজের সংকীর্ণ মানসিকতার জন্য বাংলাকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। যদিও তৃণমূলের দাবি মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণই জানানো হয়নি। পরেই এই বিষয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়ান ব্রাত্য বসুও।

Advertisement

Advertisement