নতুন দলের কর্মীদের ক্ষোভের মুখে পড়লেন প্রাক্তন সাংসদ দশরথ তিরকে (Dasharath Tirkey)। শনিবার তিনি তৃণমূল (TMC) ছেড়ে বিজেপি (BJP)-তে যোগ দিয়েছেন। তাঁর নতুন দল বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা আলিপুরদুয়ার (Alipurduar)-এর বিভিন্ন জায়গায় তাঁর কুশপুতুল পুড়িয়েছেন।
তৃণমুলের প্রাক্তন সাংসদ তথা আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমুলের চেয়ারম্যান দশরথ তিরকে (Dasharath Tirkey) বিজেপি (BJP)-তে যোগ দিতেই আলিপুরদুয়ার জেলা জুড়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করল বিজেপি।
তৃণমূল (TMC)-এ যোগ দেওয়ার আগে দশরথ তিরকে (Dasharath Tirkey) ছিলেন আরএসপি-তে। ওই দলের বিধায়ক ছিলেন তিনি। ২০১৪ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি আরএসপি ছেড়ে যোগ দেন তৃণমূলে। লোকসভা ভোটে জিতেছিলেন। এদিন ফের একবার দল বদলালেন তিনি। ঘাসফুল ছেড়ে যোগ দিলেন পদ্মফুলে। তবে তাঁর এই বদলকে স্বাগত জানাননি তাঁর নয়া দলের তৃণমূল স্তরের কর্মীরা।
সেই ছবিই দেখা গেল আলিপুরদুয়ার (Alipurduar)-এর বিভিন্ন এলাকায়। এদিন বিকেল থেকেই জেলার একাধিক ব্লকে বিজেপির কর্মীরা তৃণমুলের প্রাক্তন এই সাংসদের কুশপুত্তলিকা পোড়ান।
জেলার বিজেপির কর্মীদের হুঁশিয়ারি, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা দশরথ তিরকে (Dasharath Tirkey) দল থেকে বহিষ্কার না করা পর্যন্ত তাঁদের এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
শনিবার মেদিনীপুরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের জনসভায় তৃণমুলের এই প্রাক্তন সাংসদ বিজেপিতে যোগ দেন। এরপর থেকেই জেলা জুড়ে বিজেপি কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
আলিপুরদুয়ার (Alipurduar)-এর জেলার কুমারগ্রাম ব্লকে বিজেপি কর্মিরা তুমুল বিক্ষোভ দেখান। এই ব্লকেই প্রাক্তন সাংসদের স্থায়ী বাড়ি।
জানা গিয়েছে, কুমারগ্রাম ব্লকের বারোবিশা, কামাক্ষ্যাগুড়ি, ভলকা-সহ আরও অনেক জায়গায় বিক্ষোভ দেখায় বিজেপির কর্মীরা।
ভলকা-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সঞ্জিৎ দাস বলেন, এই দশরথ তিরকে প্রথমে বামফ্রন্টে ছিলেন। তারপর দলত্যাগ করে তৃণমুলে যোগদান করে।
এদিন দশরথ তিরকি চোরের মতো লুকিয়ে বিজেপিতে যোগদান করেছে বলে মত তাঁর। সঞ্জিত বলেন, দশরথ তির্কিকে আমরা বিজেপি দলে মানতে পারবো না। দশরথ তিরকে (Dasharath Tirkey)-কে দল থেকে বহিষ্কার না-করা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। তাঁরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, তাঁরা নিজেদের দাবিতে অনড়। দশরথ তিরকেকে তাঁরা দলে মানতে পারছেন না। তাঁকে না সরানো হলে এমন বিক্ষোভ চলবে।