নন্দীগ্রামের মানুষকে ধন্যবাদ জানালেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি ওই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছেন। প্রথমে ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই কেন্দ্রে জিতেছেন।
পরে ফের গণনা করা হয়। তখন দেখা যায় শুভেন্দু অধিকারী জিতেছেন। শুভেন্দু অধিকারী ফল প্রকাশের পর প্রতিক্রিয়া দেন। তিনি টুইট করেছেন। সেখানে ভোটে জেতার তথ্যপ্রমাণ সরাসরি তুলে ধরেছেন। নির্বাচন কমিশনের তথ্যপ্রমাণ তিনি টুইটে শেয়ার করেছেন।
টুইটে বিজেপি নেতা নন্দীগ্রামের জয়ী প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, আমি নন্দীগ্রামের মহান মানুষকে তাদের ভালবাসা, বিশ্বাস, আশীর্বাদের জন্য ধন্যবাদ জানাই। তারা আমাকে নির্বাচিত করেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক হিসেবে। তারা আমাকে নির্বাচিত করেছেন বলে ধন্যবাদ জানাই।
My sincere thanks to the great People of Nandigram for their love, trust, blessings, and support, and for choosing me as their representative and the MLA from #Nandigram. It is my never-ending commitment to be of service to them and working for their welfare. I am truly grateful! pic.twitter.com/oQyeYswDa8
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) May 2, 2021
এদিন তিনি আরও বলেন, আমি আজীবন তাদের জন্য কাজ করে যাব। এটাই আমি প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। মানুষের উন্নয়নের জন্য আমি কাজ করব। আমি সত্যিই তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।
রাজ্যের অন্যতম হাইভোল্টেজ কেন্দ্র হয়ে দাঁড়িয়েছিল নন্দীগ্রাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে সভা করার সময় ঘোষণা করে দেন তিনি নন্দীগ্রামে ভোটে লড়বেন। দলের নেতা সুব্রত বক্সিকে বলেন, তিনি যাতে নন্দীগ্রাম থেকে ভোটে লড়তে পারেন তা ঠিক করে দিন।
তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপির প্রার্থী কে হবেন, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। বলা হয়েছিল শুভেন্দু অধিকারী প্রার্থী হবেন। যদিও তাঁর কাছ থেকে এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে তিনি সরাসরি উত্তর দেননি। পরে জানিয়েছিলেন দল চাইলে তিনি রাজি।
দলের তরফ থেকে শুভেন্দু অধিকারী কেই বিজেপি প্রার্থী হিসেবে নন্দীগ্রামের বিজেপির প্রার্থী ঘোষণা করা হয় তিনি সেখানকার বিধায়ক।
আগে তিনি ছিলেন সেখানকার বিধায়ক। আগে ছিলেন তৃণমূলে। পরে যোগ দেন বিজেপিতে। তিনি রাজ্যের মন্ত্রীও ছিলেন। তিনি মন্ত্রী বিধায়ক পদ ছেড়ে যোগ দেন বিজেপিতে।
দল ছাড়ার ইঙ্গিত তিনি বেশ কিছুদিন ধরেই দিয়ে আসছিলেন। দলের বিরুদ্ধে সরাসরি কথা না বললেও তীর্যক মন্তব্য করছিলেন। এবং দাদার অনুগামী ব্যানারে তাঁর সদস্য-সমর্থকরা বিভিন্ন জায়গায় সভা-সমিতি করছিল।
অন্যদিকে শুভেন্দু রাজ্য সরকারের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গরহাজির ছিলেন এবং মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকটি বৈঠকে তিনি যোগ দেননি বলে জানা গিয়েছে।