গত কয়েকদিন হল খবরের শিরোনামে রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সৌজন্যে একটি ভিডিও। ষষ্ঠ দফার ভোটগ্রহণের আগে রাজ্যের বিদায়ী পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের একটি ভিডিয়ো ‘ফাঁস’ করেছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। ওই ভিডিয়ো-তে ফিরহাদকে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং বিজেপি-র বিরুদ্ধে নানা অশালীন শব্দ প্রয়োগ করতে শোনা গিয়েছে। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আজতক বাংলা। তার পরিপ্রেক্ষিতেই এবার আলিপুর থানায় ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে FIR দায়ের করলেন ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষ।
কলকাতা বন্দর এলাকা থেকে এবার নির্বাচনে লড়ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ ফিরহাদ হাকিম। কলকাতা বন্দর এলাকাকে ফিরহাসেদর খাসতালুক বলা হয়। গত দুই বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে জিতেছেন ফিরহাদ। তবে এবারের নির্বাচনে তাঁর প্রার্থীপদ বাতিল করা উচিত বলেই দাবি করছেন ভাবনীপুরে বিজেপির তারকা প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষ। রুদ্রর অভিযোগ, "গণতন্ত্রকে বুড়ো আঙ্গুল দেখাচ্ছেন ববি হাকিম। সাধারণ ভোটাররা বুথে গিয়ে যাতে ভোট না দিতে পারেন সে ধরনের মন্তব্য করেছেন। বিজেপিকে মারো, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে মারো, এ ধরনের মন্তব্য ক্রিমিনালরাই করে। ববি হাকিমের মদতে জেরেই আমার উপরে হামলা করা হয়েছে।"
ফিরহাদের ভাইরাল হওয়া ভিডিও
প্রচারে গিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও বিজেপিকে হুমিকে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে। অশালীন শব্দ প্রয়োগ করে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ফিরহাদের বিরুদ্ধে। ভিডিও ট্য়ুইট করেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। মুহূর্তের মধ্যেই সেই মন্তব্যের ভিডিয়ো ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয় রাজ্য রাজনীতিতে। অবিলম্বে তাঁর ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে দাবি করেন বিজেপি নেতারা। কলকাতা পুরসভার ৮০ নম্বর ওয়ার্ডের তারাতলা ময়দান এলাকায় প্রচারে বের হয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিম । সেখানেই তাঁকে বিজেপির নাম নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করতে শোনা যায়। অন্যদিকে বিজেপির ভাইরাল করা ভিডিওটি ফেক বলেই দাবি করছেন কলকাতা বন্দরের তৃণমূল প্রার্থী।
ফিরহাদের সেই ভিডিওর রেশ ধরেই এবার আলিপুর থানার FIR দায়ের করলেন ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী। এবারে ভোটপ্রচারে বেরিয়ে একাধিক জায়গায় বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে রুদ্রনীলকে। রুদ্রর অভিযোগ ফিরহাদ হাকিমের মদতের জেরেই তাঁর ওপর হামলা হয়েছে। ইতিমধ্যে তিনি ভবানীপুরের দায়িত্বে থাকা অবজারভারকেও পুরো বিষয়টি জানিয়েছেন বলে দাবি করেন রুদ্রনীল ঘোষ।