scorecardresearch
 

দিলীপের হুঁশিয়ারি! 'দরকার পড়লে দ্বিতীয় দফায় ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ হবে'

২০০৭ সালের ১৪ মার্চ নন্দীগ্রামে গুলি চালনার ঘটনা নিয়ে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, ১০ বছর ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আছেন, কিন্তু সে দিনের ঘটনার কোনো তদন্ত রিপোর্ট মানুষের সামনে আসেনি।

Advertisement
বিজেপি রাজ্যসভাপতি দিলীপ ঘোষ বিজেপি রাজ্যসভাপতি দিলীপ ঘোষ
হাইলাইটস
  • দরকার হলে ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ করেই দ্বিতীয় দফার ভোট
  • মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা দিলীপ ঘোষের
  • নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীই জিতবে বলে দাবি দিলীপের

দরকার হলে দ্বিতীয় দফার ভোটে ৩৫৬ ধারা জারি করে ভোটগ্রহণ করা হবে। আজ অর্থাত্‍ সোমবার এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। 

তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, প্রথম দফার ভোট যে ভাবে পরিচালনা করা হল, যেন ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ করা হয়েছে। সেই প্রসঙ্গেই এ দিন দিলীপ বলেন, 'দরকার হলে ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ করেই দ্বিতীয় দফার ভোট হবে। ২০১১ সালে কী ভাবে জিতেছিলেন উনি ভুলে গিয়েছেন। সে বারও কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়াকড়িতেই ভোট হয়েছিল। ২০১৬ সালেও জিতেছিলেন। লোকসভা ভোটেও এই নির্বাচন কমিশন আর কেন্দ্রীয় বাহিনীই ভোট করেছিল। আজ তাদের কেন টার্গেট করছেন উনি? আসলে উনি বুঝে গিয়েছেন, হারতে চলেছেন।'

ক্ষমতায় ফিরলে নন্দীগ্রামে সিএমও (মুখ্যমন্ত্রীর দফতর) করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার সেই ঘোষণাকে কটাক্ষ করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, '১০ বছর ধরে নন্দীগ্রামের মানুষ ওদের সঙ্গে ছিল। কতবার উনি ওখানে গিয়েছেন? কেন ওখানে উন্নয়নের জন্য কোনও দফতর করেননি। সেজ-এর বিরুদ্ধে নন্দীগ্রামে উনি আন্দোলন করেছিলেন। কেন নন্দীগ্রামের মানুষকে কাজের জন্য বাইরে যেতে হয়? কোনও উত্তর আছে? যে ব্যক্তি নন্দীগ্রামের মানুষের জন্য লড়াই করেছিলেন, তাঁকেই এখন নন্দীগ্রামের মানুষ প্রতারক বলছে। শুভেন্দু অধিকারী ও তাঁর বাবা নন্দীগ্রামের মানুষের পাশে ২৫ বছর ধরে রয়েছেন। তৃণমূলের জন্য সব কিছু করেছেন। এখন তাঁদের প্রতারক বলা হচ্ছে। যদিও দুজনেই তৃণমূল ছেড়েছেন নির্দিষ্ট নিয়ম নীতি মেনেই। আমাদের দলের নেতাকে বলছেন, ওই দলের হয়ে কাজ করতে। কী ভাবে প্রতারণা করতে হয়, শেখাচ্ছেন?'

২০০৭ সালের ১৪ মার্চ নন্দীগ্রামে গুলি চালনার ঘটনা নিয়ে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, ১০ বছর ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আছেন, কিন্তু সে দিনের ঘটনার কোনো তদন্ত রিপোর্ট মানুষের সামনে আসেনি। আসলে সরকারে আসার পরে সেটিং করে নিয়েছেন। কুরুচিকর ভাষা ব্যবহার করছেন, বারবার অভিযোগ জানাচ্ছেন নির্বাচন কমিশনে, এটাই হারের লক্ষণ।

Advertisement

Advertisement