আক্ষরিক অর্থেই তাঁদের এটা অগ্নিপরীক্ষা। পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে লকেট চট্টোপাধ্যায়, বাবুল সুপ্রিয়, স্বপন দাশগুপ্ত ও নিশীথ প্রামানিক। এঁরা প্রত্যেকেই ছিলেন বিজেপির সাংসদ। সাংসদ পদ ছেড়ে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোটে লড়ছেন তাঁরা। আজ অর্থাত্ রবিবার পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের গণনায় প্রাথমিক ট্রেন্ডে দেখা যাচ্ছে, এই ৪ প্রাক্তন সাংসদই পিছিয়ে।
সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে বিজেপি টিকিট দিয়েছিল চুঁচুড়া কেন্দ্রে। ওই কেন্দ্রের এখনও পর্যন্ত ট্রেন্ড বলছে, লকেট চট্টোপাধ্যায় প্রায় ৬ হাজার ভোটে পিছিয়ে আছে। চুঁচুড়া বড় ব্যবধানে এগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রসঙ্গ, লকেট চট্টোপাধ্যায় হুগলি লোকসভা থেকেই জিতে বিজেপি সাংসদ হয়েছিলেন।
পিছিয়ে রয়েছেন বিজেপির আরেক হাইপ্রোফাইল মুখ স্বপন দাশগুপ্তও। স্বপন দাশগুপ্ত তারকেশ্বর কেন্দ্রে লড়ছেন। ওই আসনে তৃণমূল প্রার্থী রমেন্দু সিংহ রায়। এখনও পর্যন্ত যা ট্রেন্ড, তাতে বিজেপি রাজ্যসভায় প্রাক্তন সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত পিছিয়ে রয়েছেন প্রায় ৪ হাজারের বেশি ভোটে।
পিছিয়ে রয়েছেন আরেক বিজেপির তারকা প্রার্থী তথা প্রাক্তন সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। টালিগঞ্জে বাবুল সুপ্রিয় লড়ছেন তৃণমূল প্রার্থী অরূপ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। এই আসনটিতেও প্রাথমিক ট্রেন্ডে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়।
একমাত্র প্রাক্তন সাংসদ হিসেবে বিজেপির আরেক প্রার্থী নিশীথ প্রামানিক এগিয়ে রয়েছেন। দিনহাটা কেন্দ্রে যদিও প্রাথমিক গণনায় বেশ কিছু রাউন্ড পিছিয়েই ছিলেন নিশীথ। নিশীথ লড়ছেন তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহ।
এখন যাদের নাম ঘোষণা করা হয়, তাঁদের মধ্যে কেন জেতা দলীয় সাংসদদের করা হল? এর পিছনে বিজেপির রণকৌশলটা কী ছিল ? এই রণকৌশল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের রণকৌশল। এই রণকৌশল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের রণকৌশল। এই রণকৌশল বিজেপির শীর্ষ নেতা নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহের রণকৌশল। এই রণকৌশলের মধ্যে অন্যতম পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল ছিল, প্রথমত বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব এবারের পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনটাকে, যে দিল্লি খুব গুরুত্ব দিচ্ছে।