scorecardresearch
 

তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষ, সকাল থেকেই তপ্ত কসবা

তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষ ঘিরে উত্তপ্ত এলাকা। শনিবার কলকাতার কসবায়। এদিন সকাল থেকে ওই এলাকায় গোলমাল বাধে দুই পক্ষের মধ্যে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ পৌঁছেছে।

Advertisement
কসবায় তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ ঘিরে উত্তপ্ত এলাকা (প্রতীকি ছবি) কসবায় তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ ঘিরে উত্তপ্ত এলাকা (প্রতীকি ছবি)
হাইলাইটস
  • উত্তপ্ত কলকাতার কসবা এলাকা
  • তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষ
  • ঘটনাস্থলে পুলিশ

তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষ ঘিরে উত্তপ্ত এলাকা। শনিবার কলকাতার কসবায়। এদিন সকাল থেকে ওই এলাকায় গোলমাল বাধে দুই পক্ষের মধ্যে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ পৌঁছেছে।

এই ঘটনার জেরে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে ঝামেলার শুরু। তৃণমূল এবং বিজেপি একে অপরের ওপর দোষ চাপিয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, বিজেপির একটি পার্টি অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে। এদিকে সেদিকে পড়ে রয়েছে দলের পতাকা, অন্যান্য জিনিস।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, বেশ কয়েকদিন ধরে দুই দলের মধ্যে চাপানউতোর চলছিল। এদিন তা তুঙ্গে পৌঁছয়। আর তার জেরেই হাতাহাতি শুরু হয়। তুমুল গোলমাল বাধে। এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। যার রেশ রয়ে যায় প্রায় সারাদিন।

বিজেপি অভিযোগ, তাদের একটি পার্টি অফিসে হামলা চালিয়েছে তৃণমূল। সেটি তছনছ করে দিয়েছে। দলীয় পতাকা ছিঁড়ে দিয়েছে। পার্টি অফিসের ভেতরে থাকা টেবিল, চেয়ার উল্টে-পাল্টে দিয়েছে তৃণমূল। এর আগে দলের কর্মীদের হুমকি দেওয়া হত। বিজেপি করা যাবে না, বিজেপির সঙ্গে থাকা যাবে না বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হত। কিন্তু এদিন তা চরমে পৌঁছল। রীতিমতো ভাঙচুর করা হয়েছে। দলের কর্মীদের মারধর করা হয়েছে।

সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তাদের দাবি, এটা বিজেপির নিজেদের গোলমালের ফলে হয়েছে। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগাযোগ নেই। তৃণমূল কোনও ভাবেই এর সঙ্গে যুক্ত নয়। তৃণমূলকে বদনাম করার জন্য এ সব রটানো হচ্ছে।

ঘটনার প্রতিবাদে ওই এলাকায় বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। পরে যায় কসবা থানাতেও। তাদের অভিযোগ, তৃণমূলের জন সমর্থন কমছে। তাই তারা বিজেপির ওপর হামলা করছে। দলের সভাপতি জে পি নাড্ডার ওপরও তাই হামলা চালানো হয়েছিল।

বাংলা সফরে এসে তিনি রাজ্য সরকারের তুমুল সমালোচনা করেছেন নাড্ডা। তৃণমূলকে একহাত নিয়ে নাড্ডা বলেন, অসহিষ্ণুতার আর এক নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের প্রশাসন ও পুলিশের রাজনীতিকরণ করা হচ্ছে। আগামী বছর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার আর থাকবে না। বিজেপি ২০০-র বেশি আসন পেয়ে ক্ষমতা দখল করবে। বৃহস্পতিবার তিনি ডায়মন্ড হারবার যাওয়ার পথে আক্রান্ত হন বলে অভিযোগ।

Advertisement

Advertisement