বাংলায় আট দফা নির্বাচন নির্ঘন্ট প্রকাশিত হতেই কমিশনের বিরুদ্ধে সুর চড়াল পশ্চিমবঙ্গের শাসক শিবির। যদিও নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তে খুশি বাম-কংগ্রেস শিবির। তাঁদের মত, কমিশন বুঝতে পেরেছে যে বাংলায় অবাধে ভোট করার পরিস্থিতি নেই। যদিও কেন্দ্রীয় বাহিনী যাতে নিজেদের কাজ সঠিকভাবে করে সেদিকে দৃষ্টি দেওয়ার আর্জিও করেছেন তাঁরা।
এদিন, শিলিগুড়ির সিপিআইএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য বলেন, 'করোনা ভাইরাস, কৃষক আন্দোলন, সবেতেই আমরা মানুষের পাশে ছিলাম। আমরা অনেক আগে থেকেই নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলাম। মে মাসের পৌর নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। মানুষের ভোটাধিকার সুরক্ষিত করতে হবে। রাজ্য পুলিশকে মমতা মনে করেন তাঁদের দলের পুলিশ, অন্যদিকে বিজেপি কেন্দ্রীয় পুলিশকে নিজের মনে করে। যেই আসুক সেটা নিরপেক্ষ হওয়া উচিত। সেটা নির্বাচন কমিশনকে ঠিক করতে হবে আগে। বহু পুলিশ অফিসার এখনও অনেকের হয়ে কাজ করছে। মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট নিশ্চিত করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। গত বারের মত যেন নির্বাচন না হয়।"
ভোটের নির্ঘন্টের প্রেক্ষিতে কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা আব্দুল মান্নান বলেন, "অনেক সময় নির্বাচন কমিশন বললেও ওখানের ফোন নম্বর পাওয়া যায় না। এটা দেখে ভাল লাগল যে কমিশন বুঝেছে বাংলায় অবাধে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করা সম্ভব নয়। তাই আট দফা করতে বাধ্য হয়েছে। তবে শুধু এটা ভাবলেই হবে না, পুলিশ-প্রশাসন যেন নিরপেক্ষ থাকে সেটাও দেখতে হবে।"
অন্যদিকে, তৃণমূলের মন্ত্রী গৌতম দেবের বক্তব্য, "এক মাসের উপর ভোট চলবে। মোট আট দফায় নির্বাচন হবে। এর আগে কখনই এমনভাবে নির্বাচন দেখেনি বাংলা। অন্য কোনও রাজ্যও বোধহয় দেখেনি। কেন্দ্র যেভাবে স্বায়ত্বশাসিত সংস্থাগুলিকে দখলদারি মনোভাব নিয়ে কাজ করছে তা আগে দেখা যায়নি। নির্বাচন কমিশনের উচিত সব দলকেই সমান চোখে দেখা উচিত। আমি নির্বাচন প্রক্রিয়াটিকে যথেষ্ট উপভোগ করছি। সারা বছর মানুষের কাছে যাই। তাই এসব নিয়ে আলাদা করে কিছু ভাবি না।"
নির্ঘণ্ট প্রকাশের পরেই ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, বিহারে ২৪০টা সিট, ৩টে দফায় ভোট হচ্ছে। অসমেও তাই হচ্ছে। বাংলায় কাকে সুবিধা করে দিতে ৮ দফায় ভোট? দক্ষিণ ২৪ পরগনায় যেখানে আমাদের জোর বেশি, সেখানে তিন দিনে নির্বাচন করছে। এগুলো কি নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহের কথায় হয়েছে?"