একদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। অন্যদিকে বিজেপির হেভিওয়েট নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আর এই দুই হেভিওয়েটের বিরুদ্ধে রাজ্যের সবচেয়ে হেভিওয়েট কেন্দ্র নন্দীগ্রামে (Nandigram) তারুণ্যেই ভরসা রাখল বামফ্রন্ট। নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী হলেন ডিওয়াএফআইয়ের রাজ্য সভানেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় (Minakshi Mukherjee)। কুলটির চলবলপুর গ্রামের মেয়ে মীনাক্ষীই এখন হাইভোল্টেজ ‘নন্দীগ্রামের’ সিপিআইএমের লড়াইয়ে অন্যতম মুখ ও তারুণ্যের প্রতীক।
ডিওয়াইএফআইয়ের (DYFI) রাজ্য সভানেত্রী ও সিপিআইএমের রাজ্য কমিটির সদস্য মীনাক্ষী আসানসোলের কুলটির চলবলপুর গ্রামের মেয়ে। বাবা সাগর মুখোপাধ্যায় ও মা পারুল মুখোপাধ্যায় দুজনেই সিপিআইএমের জেলা স্তরের কর্মী। দিন কুড়ি আগেই মীনাক্ষীর ভাই অমিত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু হয়েছে। সেই শোক কাটিয়ে ওঠার আগেই বড লড়াইয়ের ময়দানে নেমে পড়লেন তিনি। মীনাক্ষীর কাছে খবর থাকলেও পরিবারের সদস্য বাবা মা ঘুনাক্ষরেও টের পাননি। পার্টির আদর্শ মেনে নন্দীগ্রামে প্রার্থীর কথা গোপন করেই তিনি কলকাতার উদ্দেশ্য রওনা হয়ে যান। পরিবারের সদস্যরা টিভি দেখে জানতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যাচ্ছেন ঘরের মেয়ে মীনাক্ষী।
মীনাক্ষী লড়াকু নেত্রী। বাংলা, ইংরেজি এবং হিন্দিতে সাবলীল। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। মাঠে ময়দানেও বামেদের সব কর্মসূচিতে তাঁকে দেখা গিয়েছে। সদ্য বাম ছাত্র যুবদের নবান্ন অভিযানে বিশেষ নজর কেড়েছিলেন। পুলিশের লাঠির মুখে রীতিমতো আগলে রেখেছিলেন বাম ছাত্র যুবদের। সম্প্রতি বামেদের ব্রিগেড সমাবেশেও মঞ্চে দেখা গিয়েছিল মীনাক্ষীকে। সেই যুবনেত্রী মীনাক্ষীকেই এবার মমতা শুভেন্দুদের মতো হেভিওয়েটদের বিরুদ্ধে হাতিয়ার করছে বাম শিবির।
চলবলপুর গ্রামের সহজ সরল অথচ লড়াকু মেয়ে আজ মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিদ্বন্ধী। মীনাক্ষীর বাবা সাগর মুখোপাধ্যায় বর্তমানে কুলটি এরিয়া কমিটির সম্পাদক। তিনি বলেন, আমরা লড়াকু পরিবারের সদস্য। ছোট থেকেই ও লড়াইয়ের ময়দানে। আমি গর্বিত নন্দীগ্রামের সিপিআইএমের প্রার্থী আমার মেয়ে। যতই হাইভোল্টেজ আসন হোক মীনাক্ষী জোরদার লড়াই দেবে।
মীনাক্ষীর নাম ঘোষণার পর থেকে আপ্লুত কুলটিবাসী। শুধু কুলটির বাম কর্মীরা নয়, আপামর গ্রামবাসীরাও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। ওর লড়াইকে কুর্নিশ জানিয়েছেন চলবলপুর গ্রামবাসী।