বহিরাগত ইস্যুতে এবার তৃণমূল (TMC) সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) স্ত্রী এবং ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরকে (Prashant Kishor) বিঁধলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। রবিবার উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘির ঝাড়বাড়িতে এক সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে দিলীপ বলেন,"আমাদের প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলছেন বহিরাগত। আর প্রশান্ত কিশোরকে টাকা দিয়ে এনেছেন বিহার থেকে। তিনি কি বহিরাগত নন? আইপিএলে নাচানাচি করেন শাহরুখ খানকে নিয়ে, তিনি বহিরাগত নন? দিদিমনির ভাইপোর স্ত্রী পঞ্জাবের মেয়ে থাইল্যান্ড থেকে এসেছে, সে বহিরাগত নয়? সে বাড়ির বৌ হয়ে গেলো, আর আমাদের নেতারা বহিরাগত? এই পাগলামির জবাব মানুষ দেবেন।"
দিলীপ আরও বলেন, "আমাদের বাংলার কবি বঙ্কিমচন্দ্র বন্দেমাতরম লিখেছেন। সেখানে শুধু বাংলার নয়, গোটা দেশের কথা আছে। রবীন্দ্রনাথ জনগণমন লিখেছেন সারা দেশের জন্য। আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় কাশ্মীরে গিয়ে জীবন দিয়েছেন অখণ্ড ভারতের জন্য। সারাদেশের কথা ভেবে বিপ্লবীরা আন্দোলন করেছেন স্বাধীনতার জন্য। তারা তো কখনো কাউকে বহিরাগত বলেননি। বাংলার লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিনরাজ্যে কাজ করছেন, তাদের তো কেউ বহিরাগত বলে না।"
এদিন পালটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেই বিভাজনের রাজনীতির অভিযোগ তোলেন দিলীপ। তিনি বলেন, "দিদিমনি আজকে আমাদের দেশের মধ্যে বিভাজন করতে চাইছেন। আসলে তিনি পশ্চিমবঙ্গকে পশ্চিম বাংলাদেশ বানাতে চাইছেন। তাই ওপার থেকে রোহিঙ্গা আর অনুপ্রবেশকারীরা আসছে, আর এখানে জেলায় জেলায় বোমা ফাটছে, বন্দুকের কারখানা পাওয়া যাচ্ছে। উদ্দেশ্য, এই বাংলাকে বাংলাদেশের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া। দিদিমনির প্রধানমন্ত্রী হবার ইচ্ছা হয়েছে। এই বাংলায় থাকলে তিনি ৪২টার একটা আসনও জিততে পারবেন না। তাই এই বাংলা আর ওই বাংলা মিলিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে চান। পশ্চিম বাংলাকে ভারতের বাইরে নিয়ে যেতে চান। কিন্তু আমরা এটা হতে দেব না। বিজেপি যতদিন আছে পশ্চিমবঙ্গ ভারতেই থাকবে। বাংলাকে ভারতের বাইরে নিয়ে যাওয়ার কেউ কল্পনাও করতে পারবে না। বাংলার একইঞ্চি মাটিও কেউ নিয়ে যেতে পারবে না।"
পাশাপাশি পরিবর্তন আনতে যে বিজেপি সবরকম ভাবে প্রস্তুত তা এদিন আরও একবার স্পষ্ট করে দেন দিলীপ ঘোষ। বলেন, "একশো কেন, দুশো লোক মারা গেলেও পশ্চিমবঙ্গে পরিবর্তন আমরা করবই। তৃণমূলকে এখান থেকে সরিয়ে বাংলায় সুশাসন আনব। বাংলাকে সোনার বাংলা বানাবো।"