তৃণমূলের (TMC) অভ্যন্তরীণ টালমাটাল অব্যাহত। এবার পদত্যাগ তৃণমূলের ৫ অঞ্চল সভাপতির। পদত্যাগ করলেন মালদহের (Malda) বামনগোলা ব্লকের ৫ অঞ্চল সভাপতি। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন গোবিন্দপুর - মহেশপুর, বামনগোলা, পাকুয়াহাট, জগদলা এবং চাঁদপুর অঞ্চলের সভাপতিরা। ইতিমধ্য়েই মালদহ জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী মৌসম নুর (Mousam Nur), তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর বাবলা সরকার এবং জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেনের কাছে পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। পদত্যাগের কারণ হিসেবে তাঁরা জানিয়েছেন, 'দলে যোগ্য সম্মান পাওয়া যাচ্ছে না এবং সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করা যাচ্ছে না।'
সূত্রের খবর, একসঙ্গে এই পাঁচ অঞ্চল সভাপতির পদত্যাগের খবরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে জেলা তৃণমূলের অন্দরে। যদিও প্রকাশ্যে অবশ্য এই ঘটনাকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে না জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। এই প্রসঙ্গে, মালদা তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর দুলাল সরকার জানান, "নতুন করে সমস্ত অঞ্চলের কমিটি গঠন হচ্ছে। বামনগোলা ব্লকের পাঁচটি অঞ্চলেও নতুন করে কমিটি তৈরি হবে। তাই ওই ইস্তফার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ নয়।" তবে ইস্তফা পত্রে দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে প্রকাশ করা অঞ্চল সভাপতিদের ক্ষোভের প্রসঙ্গে কিছু বলতে চাননি দুলালবাবু।
এই ঘটনায় তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। ঘটনায় মালদহ উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, "এখন যা অবস্থা তাতে তৃণমূলে আর কেউ থাকতে চাইছেন না। এখনও তৃণমূলে যেসব ভালো মানুষ আছেন তাঁরা আর দলে থাকতে পারবেন না। কারণ তাঁদের মুখ খোলার অধিকার নেই। তাই এই পদত্যাগ। আগামীতে এই দলে পিসি ভাইপো ছাড়া আর কাউকে দেখা যাবে না। আমাদের দলের দরজা সকলের জন্য সবসময় খোলা রেখেছি।"
তবে জেলার রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ অবশ্য এই ঘটনার পিছনে অন্য ইঙ্গিত পাচ্ছেন। তাঁদের মতে, শুভেন্দু অধিকারী মালদহ জেলার পর্যবেক্ষক থাকার সময় পঞ্চায়েত স্তরের অনেক নেতার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। সেক্ষেত্রে তাঁর ইস্তফার পরেই ৫ সভাপতির পদত্যাগ বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।