বাংলায় নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে, ততই জমে উঠছে বঙ্গ রাজনীতি। ভিনরাজ্যের একাধিক দল বাংলায় ভোটে লড়ার কথা ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে অন্যতম হল শিবসেনা ও AIMIM। রবিবারই শিবসেনা আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করেছে, তারা বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করবে। খুব শীঘ্রই কলকাতায় সভা করবে শিবসেনা, জানিয়েছেন দলের সাংসদ সঞ্জয় রাউত।
এখন প্রশ্ন হল, শিবসেনা বাংলায় নির্বাচনে লড়ছে কেন? পশ্চিমবঙ্গে শিবসেনার কতটা প্রভাব রয়েছে? সূত্রের খবর, শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের পশ্চিমবঙ্গ সফরের আগেই ২৯ জানুয়ারি কলকাতায় আসছেন শিবসেনা সাংসদ অনিল দেশাই। বস্তুত, শিবসেনার পশ্চিমবঙ্গে ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত অত্যন্ত তাত্পর্যপূর্ণ, কারণ বিজেপি মূলত টার্গেট করেছে হিন্দু ভোট। সেই ভোটেই ভাগ বসাতে পারে শিবসেনা। কারণ দুই দলেরই অ্যাজেন্ডা মূলত 'হিন্দুত্ব'।
২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে এনডিএ জোটে থেকে প্রথমবার বাংলায় নির্বাচনে লড়েছিল শিবসেনা। ৪২টি আসনের মধ্যে ১৫টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল শিবসেনা। কলকাতা দক্ষিণ, যাদবপুর, বসিরহাট, ব্যারাকপুর, বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর, মেদিনীপুর, বারাসত, দমদম, পুরুলিয়া, কাঁথি, মালদা উত্তর, বীরভূম, বোলপুর ও মুর্শিদাবাদে প্রার্থী দিয়েছিল উদ্ধব ঠাকরের দল।
২০১৬ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ভোটে ২১টি আসনে লড়েছিল শিবসেনা, কোনও প্রার্থীই কোনও প্রভাব ফেলতে পারেননি। প্রত্যেকেরই জামানত জব্দ হয়ে যায়। কোনও প্রার্থী মোট ভোটের এক ষষ্ঠাংশ ভোট না পেলে তাঁর জামানত জব্দ হয়।
২০২০ সালের ডিসেম্বরে শিবসেনা তাদের মুখপত্র 'সামনা'য় মমতার পক্ষ নিয়ে লিখেছিল, 'তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাই লড়াই করছেন বাংলায়। বিরোধী দলগুলির উচিত তাঁর পাশে দাঁড়ানো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু মাত্র শরদ পাওয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। তবে এি বৃহত্তর জোট হওয়া উচিত কংগ্রেসের নেতৃত্বে।'