scorecardresearch
 

আব্বাসের নাম শুনেই মেজাজ হারালেন মমতা! বললেন, 'আমার মাথা খারাপ করবেন না!'

প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলেন তৃণমূলনেত্রী। এরই মধ্যে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, আব্বাস সিদ্দিকিকে নিয়ে আপনি কী বলবেন? নাম শুনেই মেজাজ হারালেন মমতা। বললেন, 'এইসব লোকদের নাম আমাকে বলবেন না তো! আমার মাথা খারাপ করবেন না। কোনও ব্যক্তি বিশেষকে নিয়ে কথা বলব না। দলের নীতি নিয়ে প্রশ্ন করুন।'

Advertisement
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও আব্বাস সিদ্দিকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও আব্বাস সিদ্দিকি
হাইলাইটস
  • আব্বাস সিদ্দিকির নাম শুনেই রেগে গেলেন মমতা
  • আমার মাথা খারাপ করবেন না, বললেন তৃণমূল নেত্রী
  • নন্দীগ্রাম আসনটি আইএসএফ-কে ছেড়েছে বামেরা

এবারের ভোটে যদি সবচেয়ে হাইভোল্টেজ লড়াইয়ের কোনও আসন থাকে, তা হল নন্দীগ্রাম। সূত্রের খবর, নন্দীগ্রামে বিজেপি প্রার্থী হচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী। আজ অর্থাত্‍ শুক্রবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ঘোষণা করে দিলেন, তিনিই প্রার্থী হচ্ছেন নন্দীগ্রামে। ঠিক এহেন পরিস্থিতিতেই বামেরা নন্দীগ্রাম আসনটি ছেড়ে দিয়েছে আব্বাস সিদ্দিকির দল ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট (ISF)-কে। প্রার্থীতালিকা প্রকাশের সাংবাদিক সম্মেলনে সেই আব্বাসের নাম উঠতেই মেজাজ হারালেন মমতা।

প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলেন তৃণমূলনেত্রী। এরই মধ্যে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, আব্বাস সিদ্দিকিকে নিয়ে আপনি কী বলবেন? নাম শুনেই মেজাজ হারালেন মমতা। বললেন, 'এইসব লোকদের নাম আমাকে বলবেন না তো! আমার মাথা খারাপ করবেন না। কোনও ব্যক্তি বিশেষকে নিয়ে কথা বলব না। দলের নীতি নিয়ে প্রশ্ন করুন।'

প্রসঙ্গত, নন্দীগ্রামে যদি বিজেপি-র শুভেন্দু অধিকারী প্রার্থী হন, তা হলে লড়াইটা নিঃসন্দেহে হাইভোল্টেজ। ঠিক এই দুই মহারথীর লড়াইয়ের সম্ভাবনার মধ্যেই বামেরা নন্দীগ্রাম আসনটি আইএসএফ-কে ছেড়েছে। নন্দীগ্রামে ৪০ শতাংশ মুসলিম ভোট। কয়েক সপ্তাহ আগে নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনাকে কটাক্ষ করে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেছিলেন, 'নন্দীগ্রামে ৪০ শতাংশ মুসলিম ভোট। জিতবেন কী করে! সংখ্যালঘুরা ভোট দেবে না। জিততে কষ্ট হবে।'

অর্থাত্‍ অঙ্কটা এরকম ছিল, শুভেন্দুর দিকে যদি হিন্দু ভোট বেশি যায়, তা হলে মমতা হিন্দু ও মুসলিম-- দুই ভোটই পাবেন। কিন্তু আইএসএফ প্রার্থী দিলে মুসলিম ভোট ভাগ হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। 

রাজ্যের মোট ২৯৪টি আসনের মধ্যে প্রায় ১২৫টিতেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজন ভোটের ফলাফল প্রভাবিত করার ক্ষমতা রাখে। অর্থাৎ ওই সব আসনে ২০ থেকে ৪০ শতাংশ মুসলমান ভোট থাকলে এবং তার অধিকাংশই একদিকে পড়লে তা ভোটের ফলকে প্রভাবিত করে।

Advertisement

Advertisement