scorecardresearch
 

মহা শিবরাত্রিতে নন্দীগ্রামে মনোনয়ন পেশ মমতার, এবার কি লড়াই রাম বনাম ভোলানাথ?

আগামী ১১ তারিখ শিবরাত্রির দিনই নন্দীগ্রামে (Nandigram) মনোনয়ন পত্র জমা দেবেন তৃণমূল (TMC) নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এর জন্য, আগামী ১০ তারিখই পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ায় পৌঁছে যাবেন মমতা। সেখানে সভা করবেন তিনি। তারপর রাত্রিবাস। তারপরের দিন পৌঁছবেন নন্দীগ্রাম। 

Advertisement
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
হাইলাইটস
  • ১১ তারিখ নন্দীগ্রামে মনোনয়ন পেশ মমতার
  • তৈরি অস্থায়ী বাসস্থান ও নির্বাচনী কার্যালয়
  • পায়ে হেঁটেই বেশিরভাগ প্রচার করবেন তৃণমূল নেত্রী

বাংলার 'জয় শ্রীরাম' বনাম (Jai Shri Ram) 'জয় সিয়ারাম' দ্বন্দ্বের পর এবার হয়ত মুখোমুখি রাম এবং শিব। অবাক লাগছে? একটু খোলসা করেই বলা যাক। শোনা যাচ্ছে আগামী ১১ তারিখ শিবরাত্রির দিনই নন্দীগ্রামে (Nandigram) মনোনয়ন পত্র জমা দেবেন তৃণমূল (TMC) নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এর জন্য, আগামী ১০ তারিখই পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ায় পৌঁছে যাবেন মমতা। সেখানে সভা করবেন তিনি। তারপর রাত্রিবাস। তারপরের দিন পৌঁছবেন নন্দীগ্রাম। 

রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এর নেপথ্যে নির্দিষ্ট রণকৌশল রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রাজনীতির বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এক্ষেত্রে নিজেকে শিবভক্ত হিসেবে তুলে ধরতে চাইছেন মমতা। আর সেই কারণেই এই দিনটিকে বেছে নিয়েছেন। এছাড়া এর মধ্যে দিয়ে জয় শ্রীরামের মোকাবিলার ভাবনাও রয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। কারণ জয় শ্রীরামের মোকাবিলায় মা কালির পর এবার বাবা ভোলানাথের নামও আনতে চাইছে তৃণমূল। 

নন্দীগ্রাম থেকে ভোটে লড়ছেন তৃণমূল নেত্রী। তাই ইতিমধ্যেই তাঁর থাকার জন্য অস্থায়ী বাসস্থান এবং নির্বাচনী কার্যালয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আর নির্বাচনী প্রচারও নিজের চেনা কায়দাতেই করবেন মমতা। অর্থাৎ পায়ে হেঁটেই তৃণমূল নেত্রী বেশিরভাগ প্রচার করবেন বলে জানা যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে কোনও কোনও দিন তিনি ২০ কিলোমিটার পর্যন্ত হাটতে পারেব বলেও খবর। 

এদিকে নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাতে কোমর বেঁধে তৈরি বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি বলেন, দল আমায় নন্দীগ্রাম থেকে দাঁড় করাক বা না করাক, আমি দায়িত্ব নিচ্ছি সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাব। সূত্রের খবর নন্দীগ্রাম থেকে বিজেপির হয়ে হয়ত শুভেন্দু অধিকারীই লড়বেন। তবুও এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দলই নেবে। অন্যদিকে ইতিমধ্যেই নন্দীগ্রাম আসনটি আব্বাস সিদ্দিকীর দল আইএসএফকে ছেড়ে দিয়েছে বামফ্রন্ট। সেক্ষেত্রে এবারের নির্বাচনে নন্দীগ্রামই সবচেয়ে হাইভোল্টেজ কেন্দ্র হতে চলেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। 
 

Advertisement

 

Advertisement