নন্দীগ্রামের (Nandigram) পর এবার পুরুলিয়া (Purulia)। মঙ্গলবার (Tuesday) পুরুলিয়ায় সভা করবেন তৃণমূল (TMC) নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এদিন পুরুলিয়ায় হুটমুড়ার ফুটবল ময়দানে সভা করবেন মমতা। তাঁর সভা ঘিরে ইতিমধ্যেই নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করা হয়েছে গোটা জেলা জুড়ে। নিরাপত্তায় দায়িত্বে থাকছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। চূড়ান্ত ব্যস্ততা রয়েছে প্রশাসনিক আধিকারিকদের মধ্যে। ইতিমধ্যেই মহরা সম্পন্ন হয়েছে হেলিকপ্টারের। সভার পর পুরুলিয়া সার্কিট হাউসে রাত্রিবাস করবেন মমতা। বুধবার জেলার বেলগুমা পুলিশ লাইনের সভাগৃহ থেকে বেশকিছু সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী।
সোমবারই নন্দীগ্রামে সভা করেন মমতা। এদিন নন্দীগ্রামের সভায় বক্তব্য রাখার সময় সেখান থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ঘোষণা করেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "আমি নন্দীগ্রাম থেকে দাঁড়ালে কেমন হয়। এটা আমার ভালবাসার জায়গা। আমি হয়ত ভোটের সময় বেশি টাইম দিতে পারব না। কারণ ২৯৪টা আসনই আমায় দেখতে হয়। পরে যা কাজ করার আমি সব করে দেব। আমার বিবেক আমায় বলছে নন্দীগ্রাম থেকে ঘোষণাটা করা হোক। এটাই আমার লাকি জায়গা। এটা সবথেকে পবিত্র জায়গা।" তবে ভবানীপুরকে যে তিনি অবহেলা করছেন না সেকথাও জানিয়ে দেন মমতা। এমনকি নন্দীগ্রাম ও ভবানীপুর দুই জায়গা থেকেই দাঁড়ানোর ইচ্ছাপ্রকাশ করেন তিনি। এদিন ভবানীপুরকে তাঁর 'বড় বোন' এবং নন্দীগ্রামকে 'মেজো বোন' বলে আখ্যা দেন তৃণমূল নেত্রী।
পাশাপাশি এদিন বিজেপিকে 'ওয়াশিং পাউডার' বলে কটাক্ষ করেন মমতা। একইসঙ্গে দিল্লির কৃষকদের আন্দোলনকে সমর্থনের বিষয়ে বলতে গিয়ে মমতা অভিযোগ করেন, "ফসল দখল করার চক্রান্ত করছে বিজেপি।" তিনি আরও বলেন, "২০২১-এ তৃণমূল জিতবে। আমি বেঁচে থাকতে বাংলাকে বিক্রি হতে দেব না। রাজনীতিতে ৩ ধরনের লোক থাকে, লোভী, ভোগী আর ত্যাগী। যাঁরা ত্যাগী তাঁরা কোথাও যাবে না।"
এদিকে সোমবারই মমতার খাস তালুক দক্ষিণ কলকাতায় দাঁড়িয়ে পালটা তাঁকেই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, "নন্দীগ্রামে যদি মাননীয়াকে হাফ লাখ ভোটে হারাতে না পারি তবে রাজনীতি ছেড়ে দেব।" সেক্ষেত্রে এবারের নির্বাচনেও নন্দীগ্রাম যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হয়ে উঠতে চলেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।