রবিবার কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে লক্ষ লক্ষ মানুষের সামনে দাঁড়িয়ে তৃণমূল তথা রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। এবার পালটা ক্ষমতা প্রদর্শন তৃণমূল (TMC) নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। উত্তরপ্রদেশে নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে আন্তর্জাতিক নারী দিবসে শহরে মিছিলে হাঁটতে চলেছেন মমতা। এর কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে বিজেপিকে মমতা প্রত্যাঘাত করবেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
রাজ্যে ইতিমধ্যেই জোরকদমে শুরু হয়ে গিয়েছে নির্বাচনী লড়াই। বাংলা দখল করতে কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছে বিজেপি। পালটা বিজেপির 'মিশন বাংলা' আটকে দিতে ঘুটি সাজাচ্ছেন মমতাও। এই পরিস্থিতিতে কলকাতা থেকে উত্তরপ্রদেশের নারী নির্যাতনের প্রতিবাদ জানিয়ে মমতা এক ঢিলে দুই পাখি মারতে চাইছেন বলেই মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত বাংলায় নারী নির্যাতনের অভিযোগগুলি বিভিন্ন সময় প্রচারে এনে তৃণমূলকে আক্রমণ করে চলেছে বিজেপি। সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনায় ৮৫ বছরের এক বৃদ্ধাকে মারধরে ঘটনাকে কেন্দ্র করেও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছে গেরুয়া শিবির। কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পোস্টারিং-এর মাধ্যমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী স্লোগান নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিয়েছে বিজেপি।
যদিও পালটা আক্রমণের কোনও সুযোগ ছাড়েননি মমতাও। 'বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়' স্লোগানের মধ্যে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীত্বের হ্যাটট্রিক করবেন বলেই মনে করছে তৃণমূল। এক্ষেত্রে মহিলাদের নিয়ে তৃণমূল দলের রণকৌশেও পরিবর্তন এনেছে। নির্বাচনে যে ২৯১টি আসনে তৃণমূল প্রার্থী দিয়েছে তার মধ্যে ৫০টি টিকিট দেওয়া হয়েছে মহিলাদের। ২০১৬ সালে তৃণমূলের মহিলা প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ৪৫। আর এবার উত্তরপ্রদেশে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে মিছিল। এখন দেখার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই রণনীতি আদতে কতটা প্রভাব ফেলে।