নন্দীগ্রাম শহিদ দিবস (Nandigram Martyrs' Day) পালন ঘিরে তৃণমূলের আক্রমণের মুখে পড়লেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary)। শহিদদের স্মরণে বুধবার রাতেই সেখানে গিয়েছিলেন নন্দীগ্রামের প্রাক্তন বিধায়ক শুভেন্দু। তৃণমূল (TMC)-এর কটাক্ষ, ভয় পেয়েছেন বলে রাতে চোরের মতো এসেছেন তিনি।
বিজেপির অভিযোগ, তিনি সেখান থেকে চলে যাওয়ার পর বোমাবাজি করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি (বিইউপিসি)-এর নামে সেখানে সভার আয়োজন করেছিল তৃণমূল।
গভীর রাতের সভায় শুভেন্দু জানান, প্রতি বছর আসি। এবারও এসেছি। সকালে নেতাই বেরিয়ে যাব। তাই এখন এসেছি। দল-মত-বর্ণ পেরিয়ে এই দিন পালন করি। আগামীদিনেও তাই করব। এত রাতেও যাঁরা এসেছেন, তাঁদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আমি আপনাদের হয়ে এখানে এসেছি। প্রচার করা হয়েছে, এখানে আসতে পারব না। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী ভয় পায় না।
ওইদিনের ঘটনার কথা মনে করে তিনি বলেন, ওইদিন সকাল বেলায় আমি সেলিমের দেহ তুলেছি। অনেকে অনেক উদ্দেশ্য থাকতে পারে। রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে লড়াই করেছি। শুভেন্দু ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি (বিইউপিসি)-এর নামে স্লোগান তোলেন।
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক পরিচয় দিয়ে কখনও আসেনি। আমি প্রাক্তন বিধায়ক, প্রাক্তন সাংসদ। তবে আমার সবথেকে বড় পরিচয় আমি নন্দীগ্রামের আপনজন। অনেকেই প্রচার করেছিলেন আমি নন্দীগ্রামে আজ আসতে পারব না। শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে আগেও এসেছি, আজও এলাম।
এদিন শুভেন্দুর নাম না করে তাঁকে কটাক্ষ করেছেন ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি নেতা, তৃণমূলের শেখ সুফিয়ান। তাঁর বক্তব্য, রাতের অন্ধকারে, চোরের মতো এসেছেন তিনি।
২০০৭ সালে ৭ জানুয়ারি নন্দীগ্রামের জমি আন্দোলনের শহিদ হয়েছিলেন শেখ সেলিম, ভরত মন্ডল, বিশ্বজিৎ মাইতি। ওই দিনটি পালনে তৃণমূলের নেতা হিসেবে শুভেন্দু অধিকারী নেতৃত্ব দিয়েছিলেন প্রত্যেক বছরই। শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক অবস্থান বদল হওয়ার পরে গভীর রাতে শহিদদের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা জানালেন তিনি।
এদিন ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি আয়োজিত স্মরণ অনুষ্ঠানে শহিদদের উদ্দেশ্যে মোমবাতি জ্বালিয়ে শ্রদ্ধা জানালেন রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুব্রত বক্সি। উপস্থিত ছিলেন নন্দীগ্রাম আন্দোলনের নেতা শেখ সুফিয়ান, শহিদ জননী পাঁশকুড়া পশ্চিমের বিধায়িকা ফিরোজা বিবি সহ নন্দীগ্রাম আন্দোলনের নেতৃত্বরা। ভোররাত থেকে নন্দীগ্রামের সোনাচূড়া এলাকার প্রচুর মানুষ ভিড় জমান এই শহিদ স্মরণ সভায়।