ডায়মন্ডহারবারে বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কনভয়ে কিছুই হয়নি। কয়েকজন বিক্ষিপ্ত ভাবে পাথর ছুঁড়েছিলেন। এমনটাই দাবি করল রাজ্য পুলিশ। প্রসঙ্গত, এদিন ডায়মন্ডহারবারে জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলার অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগ ঘিরে উত্তাল বঙ্গ রাজনীতি।
আরও পড়ুন, "কি দরকার ছিল অভিষেকের কেন্দ্রে এসে খোঁচানোর", নাড্ডার কনভয়ে হামলা প্রসঙ্গে সৌগত
কী দাবি পুলিশের
এদিন পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি, শ্রী জে. পি. নাড্ডা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারের সভাস্থলে নিরাপদে পৌঁছেছেন। ওনার কনভয়ের কিছু হয়নি। ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার ফলতা থানার অন্তর্গত দেবিপুরে কিছু পথচারী বিক্ষিপ্তভাবে কনভয়ের পিছনের দিকের যানবাহনে পাথর ছোঁড়ে। প্রত্যেকে নিরাপদ রয়েছেন এবং পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ। প্রকৃত ঘটনা অনুসন্ধানের জন্য বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
Shri JP Nadda, National President, BJP reached safely at the venue, Diamond Harbour, South 24 Pgs. Nothing happened to his convoy. Few bystanders at Debipur, Falta PS, Diamond Harbour PD, sporadically and suddenly threw stones towards vehicles trailing long behind his convoy. 1/2
— West Bengal Police (@WBPolice) December 10, 2020
যদিও এই হামলার প্রসঙ্গে সৌগত রায় আবার দাবি করেন, "কি দরকার ছিল সর্বভারতীয় সভাপতিকে নিয়ে এসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী কেন্দ্রে এসে খোঁচানোর। এটার তো কোনও প্রয়োজনই ছিল না। ওনারা এসে একটা বড় মিটিং করতেন, হয়ে যেত। অনেক সময় স্বতঃর্ফূত ভাবে লোকে প্রতিবাদ করেন। ইট-পাথর ছোড়া না হলেই ভালো হত।" এর পরে তিনি বলেন, "জেপি নাড্ডা তো রাষ্ট্রপতি-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নন, তিনি একটি রাজনৈতিক দলের সভাপতি। ওনার যাত্রাপথে সম্পূর্ণভাবে পুলিশ নামিয়ে দেওয়া খুব মুশকিল। ফলে কিছু জায়গায় পুলিশ ছিল আর কিছু জায়গায় ছিল না। "
পাল্টা জবাব বিজেপির
অন্যদিকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ দাবি করেন, বাইরে থেকে গুণ্ডা নিয়ে এসে ডায়মন্ডহারবারে জায়গায় জায়গায় জ্যাম করা হয়েছে। এটা কারোর জমিদারির জায়গা নাকি ? অন্য জায়গা থেকে কেউ এখানে আসতে পারবে না? গুণ্ডা নিয়ে এই রাজনীতির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই। আমাদের সভাপতির গাড়িগুলির কনভয়ে ইট ছোঁড়া হয়। বুলেটপ্রুফ গাড়ি থাকায় কোনওক্রমে সকলে রেহাই পান। কোনও সভ্য জগতে এটা হতে পারে না। তৃণমূলের পতাকা নিয়ে হামলা করা হয়েছে।" গোটা বিষয়টি নিয়ে সরগরম রয়েছে রাজ্য রাজনীতি।