কোকেনকাণ্ডে কয়েকদিন আগে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্য বিজেপির যুবনেত্রী পামেলা গোস্বামী। গ্রেফতারির পর থেকেই নিজের দলেরই নেতা রাকেশ সিং-এর দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুলে আসছেন পামেলা। তাঁকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমের কাছে চিৎকার করে দাবি করেছেন এই বিজেপি নেত্রী। প্রাথমিতভাবে তাঁর বক্তব্যের সত্যতা রয়েছে বলেই মনে করছে পুলিশ। এই ঘটনায় এবার রাকেশ ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম সুরজকুমার শা। সুরজের স্কুটারটিকেও আটক করা হয়েছে।
জেরায় পামেলা দাবি করেছেন, ঘটনার দিন তাঁর গাড়িতে মাদক রাখে অমৃত সিংহ নামে এক যুবক। পুলিশের দাবি, ধরা পড়ার আগে পামেলার গাড়ি থেকে নেমে যান অমৃত। তাঁকে নেওয়ার জন্য গাড়ি নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন এক ব্যক্তি। অমৃতকে নিয়ে যেতে তাকে রাকেশই পাঠিয়েছিল। ঘটনার পর থেকেই খোঁজ মিলছে না অমৃতের। জানা যাচ্ছে সেই ব্যক্তিই সুরজকুমার শা। রাকেশ সিংয়ের নির্দেশে অমৃত সিংকে পালাতে সাহায্য করেন সুরজ। সুরজকে অরফ্যানগঞ্জ রোড থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতকে সোমবার আলিপুর আদালতে তোলা হবে।
পামেলা গোস্বামীর অভিযোগ
কোকেনকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া পামেলা গোস্বামীর অভিযোগ , বিজেপি নেতা রাকেশ সিং তাঁকে অন্য নজরে দেখতে শুরু করেছিলেন। সম্পর্ক স্থাপনের জন্য জোর করতেন। রাজি না হওয়ায় প্রথমে শারীরিক নিগ্রহ এবং পরে তাঁকে কোকেন কাণ্ডে ফাঁসানো হয়েছে। রাকেশ সিংই ষড়যন্ত্র করে তাঁর গাড়িতে মাদক রেখেছিলেন বলে দাবি বিজেপি যুব নেত্রীর। আর সেই মাদকের ব্যাগ তাঁর গাড়িতে অমৃত সিং রেখেছিলেন।
তদন্ত কোন পথে এগোচ্ছে?
মাদক মামলায় মূল ষড়যন্ত্রকারী কে, এ বিষয়ে লালবাজারের তরফে কিছু জানানো হয়নি। তবে ধৃত বিজেপি নেত্রী পামেলা গোস্বামীর বক্তব্যে প্রাথমিকভাবে সত্যতা রয়েছে বলেই মনে করছে পুলিশ। এই ঘটনায় ১২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন গোয়েন্দারা। গোয়েন্দাদের ধারণা, মাদককাণ্ডে রাকেশের প্রত্যক্ষ যোগ থাকতেও পারে। অমৃত সিং-এর খোঁজে ইতিমধ্যে ৩ রাজ্যে চলছে জোর তল্লাশি। কলকাতা এবং সংলগ্ন জেলার বিভিন্ন জায়গার সিসি ক্যামেরার ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে এদিনই বিজেপি নেতা রাকেশ সিং-এর পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হচ্ছে।