"দার্জিলিঙের জন্য কিছুই করেনি রাজ্য সরকার। এখনও পর্যন্ত প্রজাপাট্টা পাননি চা বাগানের শ্রমিকরা।" দুদিনের দার্জিলিং (Darjeeling) সফর শেষে এভবেই রাজ্য সরকারে কড়া সমালোচনা করলেন কেন্দ্রীয় পর্যটন ও সংস্ক্তি মন্ত্রী প্রহ্লাদ সিং পটেল (Prahlad Singh Patel)। শুক্রবারই দার্জিলিঙে পৌঁছান তিনি। এরপর শনিবার (Saturday) বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে দফায় দফায় রূদ্ধদ্বার বৈঠক সারেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তারপর সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেন তিনি।
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অভিযোগ করেন, "সাংসদ এলাকার উন্নয়নের চেষ্টা করছেন, কিন্তু রাজ্য সরকার তাঁকে করতে দিচ্ছে না।" এমনকি সাংস্কৃতিক ব্যক্তিদেরও কোনও উন্নতি হয়নি বলে দাবি করেন তিনি। এরপরেই তিনি বলেন, "আমরা বিধানসভা ভোটের ইস্তাহার নিয়ে আসবো, যেমন লোকসভা ভোটের সময় করা হয়েছিল। আর গোটা দেশ জানে আমরা যেটা বলি সেটা পূরণ করি।"
এদিন সাংবাদিক সম্মেলন থেকে তৃণমূলের ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরকেও একহাত নেন প্রহ্লাদ সিং পটেল। তিনি বলেন, "পিকের মণিপরের ভোটের ফলাফল দেখা উচিত। আমরা সেখানে সরকার গঠন করেছি। এখন আমরা বলছি ২০০-র বেশি আসন। কী হবে সেটা আগামিদিনে দেখাই যাবে এবং পিকেও অবশ্যই দেখবেন।" প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই প্রশান্ত কিশোর দাবি করেন, নির্বাচনের ফলে দুই অঙ্ক পেরোতে পারবে না বিজেপি।
এদিকে বিগত কয়েক মাস ধরেই সরগরম রয়েছে পাহাড়ের রাজনীতিও। প্রায় সাড়ে ৩ বছর অন্তরালে থাকার পর হঠাৎ প্রকাশ্যে আসেন বিমল গুরুং। আর তারপরেই কার্যত শুরু হয়ে যায় বিমল গুরুং ও বিনয় তামাং শিবিরের মধ্যে 'ঠাণ্ডা লড়াই'। শুরু হয় সভা পালটা সভা। আবার ইতিমধ্যেই পাহাড়ের রাজনৈতিক সমস্যার স্থায়ী সমাধান একমাত্র বিজেপি সরকারই করতে পারে বলে দাাবি করেছেন দার্জিলিং-এর সাংসদ রাজু বিস্তা। আর তারপরেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পাহাড়ে আগমন। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত কোন পথে মোড় নেয় পাহাড়ের রাজনীতি।