নবান্ন অভিযানে ডিওয়াইএফআই (DYFI) নেতা মইদুল ইসলাম মিদ্দার মৃত্যুর প্রতিবাদে এবং কেন্দ্রের কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে রেল অবরোধ বাম ছাত্র সংগঠনের (Left Students Union)। বৃহস্পতিবার (Thursday) হাসনাবাদ - শিয়ালদহ শাখার বসিরহাট ও ভ্যাবলা রেলস্টেশনের মাঝে ধোপাপাড়ায় ৪০ নম্বর রেল গেটে অবরোধ করেন বাম ছাত্র সংগঠনের নেতা কর্মীরা। এদিন বিকেল ৩টে থেকে ৩টে ৪৫ পর্যন্ত চলে রেল অবরোধ। যার জেরে সমস্যায় পড়েন রেল যাত্রীরা। ৪৫ মিনিট ধরে অবরোধ চলার পর তা তুলে নেয় বিক্ষোভকারীরা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে কেন্দ্রের কৃষি আইন বাতিল করতে হবে ও নবান্ন অভিযানে মইদুল ইসলাম মিদ্দার মৃত্যুর ঘটনায় দোষী পুলিশ কর্মীদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে।
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বসিরহাটে রেল অবরোধ করে সারা ভারত কৃষক ক্ষেতমজুর সংগঠন। এদিন দুপুরে ১ টা ২৫ মিনিটের ডাউন শিয়ালদহ লোকাল আটকে দেন অবরোধকারীরা। সমস্যায় পড়েন রেল যাত্রীরা। প্রায় ২০ মিনিট ধরে অবরোধ চলার পর তা তুলে নেয় বিক্ষোভকারীরা। তাঁদের দাবি অবিলম্বে কেন্দ্রের কৃষি আইন বাতিল করতে হবে। অন্যথায় দিল্লির পাশাপাশি সারা দেশে কৃষক আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।
এদিকে বাম (Left Front) - কংগ্রেস (Congress) যৌথভাবে রেল অবরোধ করে রামপুরহাট ও বোলপুরে। প্রায় ১ ঘণ্টা ধরে চলে অবরোধ। যার জেরে থমকে যায় মা তারা এক্সপ্রেস, বামদেব ফাস্ট প্যাসেঞ্জার, কাঞ্জনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস, শহীদ এক্সপ্রেসের মত ট্রেন। ব্যাপক সমস্যায় পড়েন যাত্রীরা। অন্যদিকে দুর্গাপুরেও রেল রোকো অভিযান চালায় বাম ও কংগ্রেস। দুর্গাপুর মায়াবাজার রেলগেটে প্রায় ৩০মিনিট বিক্ষোভ দেখান বাম কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা ৷ অবরোধের জেরে আটকে যায় হাওড়া আজিমগঞ্জ এক্সপ্রেস ও শক্তিপুঞ্জ এক্সপ্রেস। পরে রেল পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ তোলে বাম কংগ্রেস।
অন্যদিকে পেট্রোলিয়ামজাত পন্য ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে আসানসোলে বিক্ষোভ ও পথ অবরোধে সামিল হয় কংগ্রেস। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও দিলীপ ঘোষের কুশপুত্তলিকাও দাহ করা হয়। এদিন অভিনব ভাবে দু'চাকা, চারচাকা গাড়ি এবং গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে অবরোধে সামিল হন কংগ্রেসের নেতা কর্মীরা। প্রায় ১৫ মিনিটের জন্য অবরোধ করে দেওয়া হয় পুরোনো জিটি রোড। খবর পেয়ে আসানসোল দক্ষিন থানার পুলিশ গিয়ে অবরোধকারীদের সরিয়ে দেয়।