'দমবন্ধ হওয়া প্রচুর মানুষ আছেন। প্রকাশ্যে তাঁরা হয়তো কিছু বলতে পারছেন না। আগামিদিনে তাঁদের মুখেও প্রতিবাদের ভাষা থাকবে', দীনেশ ত্রিবেদীর (Dinesh Trivedi) রাজ্যসভার সাংসদ পদে এবং তৃণমূল থেকে ইস্তফা প্রসঙ্গে এমনটাই বললেন বিজেপি (BJP) নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee)। রাজীবের মতে, হতাশা থেকেই বাধ্য হয়ে রাজ্য়সভায় দাঁড়িয়ে ওই কথা বলেছেন দীনেশ। একইসঙ্গে ফের একবার 'ডবল ইঞ্জিন সরকারের' পক্ষে সওয়াল করেন রাজীব। বলেন, 'কেন্দ্র - রাজ্য যদি যৌথভাবে কাজ না করতে পারে তাহলে কোনও সার্বিক উন্নয়ন হয় না। শুধু ঝগড়া করলে রাজ্যের জন্য কেন্দ্রের কাছ থেকে বিশেষ সুবিধা অর্জন করা যাবে না। রাজ্যের মানুষ এতে বঞ্চিত হয়েছেন। তাই আগামিদিনে চাই ডবল ইঞ্জিন সরকার। ৩৪ বছরের বামফ্রন্ট শাসনকাল, আর ৯ বছরের বর্তমান রাজ্য সরকার, বাংলার মানুষ এর পরিবর্তন চাইছেন। বাংলার মানুষ এবার সেই রায়ই দেবেন।'
প্রসঙ্গত শুক্রবার হঠাৎই রাজ্যসভায় নিজের ইস্তফার কথা ঘোষণা করেন দীনেশ ত্রিবেদী। সেদিনই ইস্তফা দেন তৃণমূল থেকেও। রাজ্যসভায় দীনেশ বলেন, 'আমাদের জীবন জন্মভূমির জন্যই উৎসর্গীকৃত। কিন্তু দলে আছি বলে শৃঙ্খলা মেনে চুপ থাকতে হচ্ছে। তবে আমি আর দেখতে পারছি না। দম বন্ধ হয়ে আসছে। ওদিকে অত্যাচার চলছে। কিছু করতে পারছি না। আমার মন বলছে এখানে চুপ করে বসে সব দেখার চেয়ে ভাল ইস্তফা দাও।'
এদিকে দীনেশের এই পদক্ষেপের পরেই শোরগোল পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে। দীনেশকে তাঁদের দলে যোগদানের আহ্বান জানান একাধিক বিজেপি নেতা। সেই সম্ভাবনা পুরোপুরি উড়িয়ে না দিলেও পদ্ম শিবিরে যোগদানের বিষয়ে এখনও কিছু নিশ্চিত করে কিছু জানাননি তিনি। অন্যদিকে দীনেশের ইস্তফার পরেই তাঁর সমালোচনায় নেমে পড়েছে তৃণমূল। শনিবার ঢোলাহাটের সভায় নাম না করে তাঁকে আক্রমণ করেন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, 'যাঁদের দমবন্ধ হয়ে আসছে, তাঁরা বিজেপির আইসিইউতে গিয়ে ভর্তি হচ্ছেন।' তবে রাজনৈতিক মহল মনে করছে পরিস্থিতি যেদিকে এগোচ্ছে তাতে দীনেশের বিজেপিতে যোগদান এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।