"আগামী ২০২৪ সালের আগেই হবে পাহাড়, ডুয়ার্স ও তরাইয়ের স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান। ভারতের সংবিধান মেনে তা হবে সংসদ ভবনে। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় কিচ্ছু হবে না।" সোমবার শিলিগুড়ির (Siliguri) পুরনিগমের ২ নম্বর ওয়ার্ডে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এমনটাই জানালেন দার্জিলিং-এর বিজেপি (BJP) সাংসদ রাজু বিস্তা (Raju Bista)। এদিন মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূলকেও (TMC) একহাত নেন রাজু। তিনি বলেন, "তৃণমূল শুধু গোর্খাল্যান্ড নিয়ে রাজনীতি করতে জানে, কিন্তু অদিবাসী, গোর্খা ও রাজবংশীদের নিয়ে কোনও চিন্তা নেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)।" রাজুর আশ্বাস, "পশ্চিমবঙ্গের জনতার সঙ্গে যারা অন্যায় করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।" পাশাপাশি বিধানসভা নির্বাচনের আগে পাহাড়ের ১১টি জনজাতিকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি। রাজু এও বলেন, "তৃণমূল সরকার মোর্চাকে যতই টাকা দিক, পাহাড়বাসী ২০১৭ সালের আন্দোলনের কথা ভোলেননি।" তাঁর দাবি, ২০২১-এর নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে অনেক আসন পাবে বিজেপি।
প্রসঙ্গত ২০১৭ সাল থেকে অন্তরালে থাকার পর কয়েক মাস আগে প্রকাশ্যে এসেছেন মোর্চা নেতা বিমল গুরুং। প্রকাশ্যে এসে এনডিএর সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ত্যাগ করে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে সমর্থনের কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। এমনকি ইতিমধ্যে পাহাড়ে পাও রেখেছেন গুরুং। আবার গুরুং যাতে পাহাড়ে আর পায়ের তলায় মাটি না পান তার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে তাঁর বিরোধী মোর্চা নেতা বিনয় তামাং-এর গোষ্ঠীও। আর এই বিনয় - বিমল দড়ি টানাটানির মাঝে উত্তাপ বাড়তে শুরু করেছে পাহাড়ের রাজনীতিতে।
অন্যদিকে সোমবারই তৃণমূলে যোগ দেন তরাই ডুয়ার্সের নেতা রাজেশ্বর লাখরা। টাইগার নামেই অবশ্য তাঁর বেশি পরিচিতি। তৃণমূলে যোগ দিয়ে টাইগার জানান, "আদিবাসীদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা কাজ করছেন, আগে আর কোনও রাজ্য সরকার তা করেনি। তাই মুখ্যমন্ত্রীর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়েই তৃণমূলে যোগদান।" পাশাপাশি বিরসা মুন্ডার জন্মদিনে ছুটি ঘোষণার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আদিবাসী সম্প্রদায় কৃতজ্ঞ থাকবে বলেও জানান তিনি। টাইগারকে দলে পেয়ে লোকসভা ভোটে তরাই ডুয়ার্সে হারানো জমি পুনরুদ্ধারে তৃণমূলের সুবিধা হবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।