ঘাসফুল শিবিরের একাধিক ছোট-বড়-মাঝারি নেতার মুখে শোনা যাচ্ছে ইঙ্গিতপূর্ণ কথা। তার মধ্যেই নতুন করে জল্পনা এবার উস্কে দিয়েছিলেন বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। মিছিলের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মমতার সঙ্গেই তাল মিলিয়ে হেঁটেছিলেন যে সাংসদ, তাঁকেই ক্ষণিকের জন্য বেসুরো হতে দেখা গিয়েছিল। তবে মনে হচ্ছে পরিস্থিতি সামলে নিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
কারণ দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে ২৪ ঘণ্টা পরেই মত বদলালেন শতাব্দী রায়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে বড়সড় পোস্টে তৃণমূলে থেকে যাওয়ার কথা স্পষ্ট করলেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় লম্বা পোস্ট করে বীরভূমের সাংসদ বলেন, 'শেষ পর্যন্ত তৃণমূল পরিবারের প্রিয় নেতা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার সবিস্তারে আলোচনা হয়েছে। আমি সমস্যার জায়গাগুলি জানিয়েছি। তিনিও শুনেছেন এবং আলোচনা হয়েছে। এই আলোচনা ইতিবাচক। সমস্যার সমাধান হবে বলে আমি আশাবাদী। সামনে নির্বাচন। যাঁরা তৃণমূলের কর্মী বা নেতা, আমার মতই তাঁদের কিছু ক্ষোভ বা বক্তব্য থাকতেই পারে। আমরা সেগুলি দলের মধ্যেই মেটাবো।ভোটে জয়ের পর পর্যালোচনা করব। এখন সবাই হাতে হাত মিলিয়ে লড়াই করার সময়। আসুন সবাই মমতাদির নেতৃত্বে তৃতীয় তৃণমূল সরকার গঠনের লক্ষ্যে বাংলার স্বার্থে কাজ করি।’
বীরভূমের নাগরিকদের প্রতি- আজ একটি পোস্ট করব বলেছিলাম। এই লেখার মাধ্যমে আমার বক্তব্য জানাচ্ছি। আমাকে কয়েকজন প্রশ্ন...
Posted by Satabdi Roy Fans' Club on Friday, 15 January 2021
এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশংসায় ভরিয়ে দেন তিনি। পোস্টে লেখেন, ‘আমি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ দিচ্ছি। যেভাবে তিনি সমস্যা শুনেছেন, আলোচনা করেছেন, পরামর্শ দিয়েছেন, তাতে আমি নিশ্চিত তরুণ নেতাটি এখন যথেষ্ট দায়িত্বশীল ও পরিণত। নতুন প্রজন্মের এমন নেতার নেতৃত্ব দলকে শক্তিশালী করবে।’
প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনের আগে যেভাবে তৃণমূলে ভাঙন শুরু হয়েছে তাতে শতাব্দী রায়ের বেসুরো হয়েও দলে ফিরে আসায় আরও এক ধাক্কায় হাত থেকে বেঁচে গেল মমতার দল। কিছুটা হলেও সামাল দেওয়া গেল দলের অন্দরের ক্ষোভকে।