প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাজ্যে এসে প্রথম জনসভা করার পরই নির্বাচনী ময়দানকে আরও লড়াইয়ের মঞ্চ করে দিয়ে গিয়েছেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি জে পি নাড্ডাকে দিয়ে নদিয়া থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে বিজেপির রথযাত্রা। যার পোশাকি নাম 'পরিবর্তন যাত্রা'। বুধবারের রায়গঞ্জে তৃণমূলের জনসভা থেকে সেই রথযাত্রা প্রসঙ্গেই সুর চড়ালেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা এদিন বলেন, "বিজেপি চায় যেভাবেই হোক আমাকে সরিয়ে এ রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে। কিন্তু আমরা মাথা নত করার লোক নই। যেই রথের কথা বললাম, ওমনি দৃষ্টি সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করল। ছোট থেকে দেখে এসেছি, রথযাত্রা রথের মধ্যে জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রা থাকে। কিন্তু বিজেপির রথে নেতারা কেন থাকবেন? ওঁরা কি জগন্নাথ দেব, বলরাম, সুভদ্রার থেকেও বড়? এখন কি বিজেপি নেতাদের পুজো করতে হবে না কি?"
বিজেপির রথযাত্রার অনুমতি দেওয়া নিয়ে প্রশাসন-পদ্মশিবিরের তরজা ছিলই। নবান্নের থেকে সাফ জানান হয় যে জেলা প্রশাসনের থেকে অনুমতি নিয়েই এই কর্মসূচী পালন করতে হবে। যদিও বিজেপি জানিয়েছিল যে অনুমতির দিলে ভাল না হলে রথযাত্রা হবেই। মমতা অবশ্য এই রথযাত্রাকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। তিনি বলেন, "রথযাত্রা কত রকমের হয় আমরা জানি। জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা দেখেছি,ইসকনের রথযাত্রা দেখেছি। আমি সেটি উদবোধনও করেছি। আবার আমরা এও দেখেছি যুদ্ধের সময়ও রথ ব্যবহার হয়। শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনের সারথী ছিলেন। শ্রীকৃষ্ণ একজন দেবতা ছিলেন। বিজেপির এরা কি সবাই কৃষ্ণ না কি? দেবতারা সব চলে গেল তার জায়গায় এরা এল।"
পদ্ম শিবিরের রথযাত্রা 'ধর্মের নামে অধর্ম' এমন নিশানাই করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তিনি বলেন, "রাবণ সীতাকে হরণ করে নিয়ে চলে যাচ্ছে, সেই রথও দেখেছি ইতিহাসে। আর এখন বিজেপির বাবুরা সব রথ বের করেছেন। সেই রথে বিরিয়ানি, মাংস, পোলাও ছানার কাবাব থেকে সাজুগুজু থেকে খানা পিনা, গানা সব রেডি। দশ তলা হোটেলে গেলে যা পাওয়া যায় সেই সমস্ত রেখেছে। নেতারা জনগণের টাকায় ফূর্তি করছেন ওই রথযাত্রায়। আমি লজ্জিত ও দুঃখিত যে জগন্নাথ দেবের রথযাত্রাকে এরা কালিমালিপ্ত করেছে। ধর্মের নামে অধর্ম করে বেড়াচ্ছে। দেবতার রথ বিজেপির রথ হতে পারে না।"