scorecardresearch
 

ব্রিগেডের মঞ্চে সহমতের ভিত্তিতে শিল্প গড়ার বার্তা, সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের ভয় কি এখনও তাড়া করছে বামেদের?

গত ১০ বছরে রাজ্যে কোনও শিল্প আসেনি বলে অভিযোগ করেছেন বিরোধীরা। রাজ্যে শিল্প স্থাপন ও কর্মসংস্থানের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু এরই মাঝে সিপিআইএম-এর (CPIM) রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের (Suryakanta Mishra) গলায় শোনা গেল সাবধানী মন্তব্য। তিনি বলেন, 'বড় শিল্প আনতে হবে। মানুষের সহমতের ভিত্তিতে শিল্প করতে হবে।' রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন হঠাৎ করে সহমতের ওপরে বিশেষ জোর কেন দিলেন সূর্যবাবু?

Advertisement
প্রতীকী ছবি প্রতীকী ছবি
হাইলাইটস
  • সহমতের ভিত্তিতে শিল্প গড়ার বার্তা সূর্যকান্তের
  • এতটা সাবধানী মন্তব্য কেন?
  • সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম থেকেই কি শিক্ষা?

২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে শিল্প ও কর্মসংস্থানের ইস্যুতে তৃণমূল তথা রাজ্য সরকারে বিরুদ্ধে বারেবারেই তোপ দাগছে বিজেপি সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলি। রবিবার ব্রিগেড সমাবেশেও প্রত্যকের জন্য কাজের দাবি জানিয়েছেন বাম, কংগ্রেস ও আইএসএফ নেতৃত্ব। গত ১০ বছরে রাজ্যে কোনও শিল্প আসেনি বলেও অভিযোগ করেছেন বিরোধীরা। রাজ্যে শিল্প স্থাপন ও কর্মসংস্থানের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু এরই মাঝে সিপিআইএম-এর (CPIM) রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের (Suryakanta Mishra) গলায় শোনা গেল সাবধানী মন্তব্য। তিনি বলেন, 'বড় শিল্প আনতে হবে। মানুষের সহমতের ভিত্তিতে শিল্প করতে হবে।' রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন হঠাৎ করে সহমতের ওপরে বিশেষ জোর কেন দিলেন সূর্যবাবু?

এখানে একটু ইতিহাসে ফিরে যাওয়া যাক। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালিন রাজ্যে শিল্প আনার চেষ্টা করেছিলেন। যার অন্যতম ছিল সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রাম। যদিও জমি অধিগ্রহণকে ঘিরে সেই সময় উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা বঙ্গ রাজনীতি। আর শুধু বাংলাই নয়, সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রামের ঘটনা এক সময় সারা দেশের সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে উঠে এসেছিল। জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে স্থানীয় মানুষ এবং তৎকালিন বিরোধী দলনেত্রী তথা বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের লাগাতার আন্দোলন নড়িয়ে দিয়েছিল বাম সরকারে ভিত। যার ফল, ২০১১ সালে রাজ্যে ক্ষমতার পালাবদল। ৩৪ বছরের বাম সরকারকে হঠিয়ে ক্ষমতায় এলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সেই সময় জমিগ্রহণের সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল কি না, বা জমি অধিগ্রহণ পদ্ধতিতে কোনও ভুল ছিল কি না, তাই নিয়ে পরবর্তী ক্ষেত্রে বিস্তর আলোচনা পর্যালোচনা হয়েছে। এমনকি বামেদের অন্দরমহলেও সেই প্রশ্ন উঠেছে বারে বারে। সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের ঘটনায় প্রকাশ্যেই আত্মসমালোচনাও করতে দেখা গিয়েছে কোনও কোনও বাম নেতাকে। যদিও শিল্পের প্রয়োজনিয়তার কথা অবশ্য বারেবারেই বলে গিয়েছেন বামেরা। সেক্ষেত্রে রাজনৈতিক মহল মনে করছে গত ১০ বছরে রাজ্যে সেভাবে কোনও বড় শিল্প না আসায় এবার সেটাকেই মানুষের সামনে তুলে ধরতে চাইছেন বাম নেতৃত্ব। মানুষকে বোঝাতে চাইছেন শিল্প ও তার মাধ্যমে স্থানীয় যুব মানুষের কর্মসংস্থানের কথা। তবে অতীতের থেকে শিক্ষা এবার আর কোনও তাড়াহুড়ো করতে চায় না সিপিআইএম তথা বাম নেতৃত্ব। আর সেই করণেই হয়ত সহমতের ভিত্তিতে শিল্পস্থাপনের পক্ষে সওয়াল করলেন সূর্যকান্ত মিশ্র।

Advertisement

 

Advertisement