তেখালির সভায় ফের বিজেপিকে ওয়াশিন মেশিনের সঙ্গে তুলনা করেছেন তৃণমূল নেত্রী। পদ্ম শিবিরকে 'ওয়াশিং পাউডার ভাজপা' বলে খোঁচা দিয়েছেন তিনি। নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীর দিকেও করেছেন ইঙ্গিত। মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় বলেছেন, অনেকেই কালো টাকা সুরক্ষিত রাখতে বিজেপিতে যাচ্ছে। যা নিয়ে তৃণমূল নেত্রীকে পাল্টা দিল বিজেপি।
এক সময় তিনিই ছিলেন দিদির কাছের লোক। এখন বিজেপিতে যোগ দিয়ে সেই তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধেই কালো টাকা ইস্যুতে আজ মুখ খুলেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। এদিন বিজেপির বিষ্ণুপুরের সভায় শোভনবাবু বলেন, ''উনি কালো টাকার বিরুদ্ধে বলছেন, আগে নিজের বাড়ির দিকে দেখুন। আয়নায় নিজেকে দেখুন, পরে অন্য়ের বিষয়ে কথা বলবেন। আগামী নির্বাচনে ব্য়ালটবাক্স খুললেই প্রমাণ হয়ে যাবে, বাংলার মানুষের বুকে কে রয়েছে ? ''
এদিন নন্দীগ্রামে তৃণমূল নেত্রী বলেন, ''আমি জানি কতগুলি সার্ভে রিপোর্ট ভোটার লিস্টের নামে তৈরি হচ্ছে। এমনকী সার্ভে রিপোর্টগুলো বদলে দিচ্ছে। আমরা কাছে খবর আছে। কেউ কেউ সার্ভে রিপোর্ট বানিয়েছে। যেখানে ২১১ পেয়েছে তৃণমূল, সেখানে লেখো ১৫৮ পেয়েছে। বিজেপি ৫১ পেয়েছে মাত্র ওকে তুমি ৯২ দেখাও, ১০২ দেখাও। দিল্লির নেতারা বলছে, আর সংবাদপত্র ভয়ে চুপ করে আছে । কাগজ কিন্তু বেরিয়ে যায়। আপনি কতদিন ঢেকে রাখবেন। আপনি সংবাদপত্রকে ভয় দেখিয়ে জনমানসের অভিব্যক্তি ঢেকে রাখতে পারেন না।''
এই বলেই থেমে থাকেননি তৃণমূল নেত্রী। তিনি দাবি করেন, ''একটি সাম্প্রতিক সার্ভে রিপোর্ট হয়েছে,সেখানে তৃণমূল ২১১ পাবে। বিজেপি পাবে ৫১ , অন্যান্য়রা পাবে বাকি আসন। সেই রিপোর্ট ঘুরিয়ে দেখানো হবে। কিন্তু আপনাদের আমি আগে থেকেই আসল রিপোর্টটা বলে দিলাম। দেখলেন না দিল্লির গেমপ্ল্যান তৈরি হয়ে গেছে।''
এর উত্তরে শোভনবাবু বলেন, উনি ভুল করছেন, রাজ্য়ে বিজেপি ৫১ শতাংশ ভোট পাবে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে এখন চাল চুরি, গরু পাচারের মতো অভিযোগ। সেখানে দাঁড়িয়ে রাজ্য়ের মানুষ তৃণমূলকে প্রতিদিন প্রত্যাখ্যান করছে। বিজেপির জনসভায় উপচে পড়া ভিড়ই তার প্রমাণ। রাজ্য়ের রাজনৈতিক মহল বলছে, এমনিতেই দক্ষিণ ২৪ পরগণা অভিষেকের গড় বলেই পরিচিত। যদিও তা স্বীকার করেত রাজি নন শোভন। তাঁর দাবি, এক সময় তাঁরাই দক্ষিণ ২৪ পরগণা ও কলকাতার সংগঠন তৈরি করেছিলেন।